শাক-সবজি বাজারে স্বস্তি, স্বাভাবিক হয়নি সয়াবিন তেল
ছবি: সংগৃহীত
সরবরাহ বাড়ায় রাজধানীর কাঁচা বাজারগুলোতে কমেছে সব ধরনের মৌসুমি শাক-সবজির দাম। কিন্তু মূল্য বৃদ্ধির ঘোষণা আসার পর থেকেও স্বাভাবিক হয়নি বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর ঝিগাতলা, ধানমণ্ডি, মুগদা, মিরপুর, শংকর, মোহাম্মদপুর, শনিরআখড়ায় এ চিত্র দেখা গেছে। বেশি দাম যোগ করে বাজারে এখন প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিনের দাম ১৭৫ টাকা। আর খোলা সয়াবিনের দাম ১৫৭ টাকা। যদিও নতুন দামের তেল এখনো বাজারে আসেনি। সরবরাহ সংকটের কারণে বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৮০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। নতুন করে দাম বাড়ার আগে বোতলজাত সয়াবিন প্রতি লিটার ১৬৭ টাকা ও খোলা সয়াবিনের লিটার ছিল ১৪৯ টাকা।
সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৫০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা, মূলা ২৫ থেকে ৩০ টাকা, লতি ৭০ টাকা, কহি ৫০ টাকা, ধুন্দুল ৫০ টাকা ও পটোল ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি পেঁপে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, গাজর ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ক্ষিরাই ৫০ টাকা, টমেটো ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, শিম ৪০ থেকে ৫০ টাকা, শালগম ৪০ টাকা ও শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। এ ছাড়া প্রতি কেজি ধনেপাতা ৩০ টাকা, পেঁয়াজের কালি ৫০ টাকা, নতুন আলু ৭০ টাকা ও পুরাতন আলু বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকায়। আর মানভেদে প্রতি পিস ফুলকপি ৩০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ টাকা ও লাউয়ের জন্য গুনতে হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা।
এছাড়া কাঁচা মরিচের কেজি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৯০ টাকায়, আর পাইকারিতে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। এছাড়া বাজারে লালশাকের আঁটি ১০ টাকা, পাটশাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, পুঁইশাক ৩০ টাকা, লাউশাক ৪০ টাকা, মুলাশাক ১০ টাকা, ডাঁটাশাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, কলমিশাক ১০ টাকা ও পালংশাক বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকায়। পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা। দেশি হাইব্রিড পেঁয়াজের কেজিতে ৩০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা আর আমদানি করা পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা দরে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এসবি