তথ্য সংগ্রহে মাঠে ভ্যাটের চার টিম
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নির্দেশে সোমবার চারটি জরিপ টিম গঠন করেছে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর। এই জরিপ টিম ঢাকার (ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব ও পশ্চিম) বিভিন্ন বিপনীবিতান, শপিংমল, কারখানা ও সেবা প্রতিষ্ঠানে পরিদর্শন করে ভ্যাট সংক্রান্তে তথ্য সংগ্রহ করবে।
সোমবার এই জরিপ টিম গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়ে নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের (মূল্য সংযোজন কর) মহাপরিচালক ড. মইনুল খান বলেন, ঢাকার ভ্যাট কমিশনারেট (ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব ও পশ্চিম) এর আওতাধীন চারটি টিম গুরুত্বপূর্ণ মার্কেটে এই জরিপ করছে। এর মধ্যে সহকারী পরিচালক মালেকিন নাসিরের নেতৃত্বে একটি টিম মোহাম্মদপুরের টোকিও স্কয়ারে রয়েছেন। উপ-পরিচালক তানভীর আহমেদের নেতৃত্বে একটি টিম আছে ধানমন্ডির সানরাইজ প্লাজা ও অর্কিড প্লাজায়। এছাড়া সহকারী পরিচালক মুনাওয়ার মুরসালিনের নেতৃত্বে একটি টিম গুলশান-১-এর নাভানা টাওয়ার ও বারিধারার অনন্যা মার্কেটে জরিপ করছেন। সহকারী পরিচালক মাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টিম আছে রুপগঞ্জ হাজী হোসেন প্লাজায়।
জরিপ দলের কর্মকর্তারা নির্ধারিত ফর্মে ভ্যাট যোগ্য প্রতিষ্ঠানের তথ্য সংগ্রহ করবে। পরে যাচাই করে প্রতিবেদন দিবে। ভ্যাট সংক্রান্ত এসব তথ্যে সংগ্রহের মধ্যে রয়েছে ভ্যাট নিবন্ধন নম্বর, নিবন্ধন সনদ দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শিত আছে কিনা, বিক্রিত পণ্য বা সেবার প্রকৃতি, টিন, দোকানের আয়তন ও ভাড়া, কর্মচারীর সংখ্যা ও তাদের আনুমানিক বেতন, মাসিক গড়ে বিদ্যুৎ বিলের পরিমাণ, জুলাই ২০২০ থেকে এপ্রিল ২০২১ পর্যন্ত ১০ মাসে ভ্যাট রিটার্ন দিয়েছে কিনা এবং মাসভিত্তিক ভ্যাটের পরিমাণ। মাঠপর্যায়ের এসব তথ্য সংগ্রহের পর স্থানীয় ভ্যাট অফিস এবং ভ্যাট অনলাইন সিস্টেমের সাথে যাচাই করে প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হবে।
এই সার্ভের মাধ্যমে যারা ভ্যাটের আওতাভুক্ত নেই, তাদেরকে আইনের আওতায় উদ্বুদ্ধ করা হবে। একইসাথে, সঠিক পরিমাণ ভ্যাট নিয়মিতভাবে সরকারি কোষাগার জমা দিতে নিবন্ধিতদের আইনের বিধান সম্পর্কে অবহিত করা হবে। এই সার্ভে করার সময় সংশ্লিষ্ট মার্কেট সমিতির সহায়তা নেয়া হচ্ছে।
ভ্যাট আইন অনুসারে ভ্যাটযোগ্য প্রতিষ্ঠানকে ভ্যাট নিবন্ধন নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করা বাধ্যতামূলক। একই সাথে, প্রতিটি পণ্য বা সেবা বিক্রির সময়ে ক্রেতাকে যথাযথভাবে মূসক-৬.৩ এ চালান প্রদান এবং ক্রেতার নিকট থেকে কর্তিত ভ্যাট মাস শেষে ১৫ তারিখের মধ্যে সরকারি কোষাগারে জমা দিয়ে রিটার্ন দেয়ার বিধান রয়েছে। এর ব্যত্যয় ঘটলে তদন্তের মাধ্যমে ফাঁকিকৃত ভ্যাট, জরিমানা ও সুদসহ আদায় করা হচ্ছে।
ভ্যাট গোয়েন্দার দল বিভিন্ন সময়ে মাঠে কাজ করছে এবং কোন অভিযোগ আসলে তা অনুসন্ধানপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছে। ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তরের এই কার্যক্রম দেশে ভ্যাট সংক্রান্ত করবান্ধব সংস্কৃতি গড়ে তুলতে সহায়ক হবে মর্মে আশা প্রকাশ করেন মইনুল খান।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এমএজেড/এএস