দোকান ও বিপণিবিতান খোলার সিদ্ধান্ত আসতে পারে
করোনার সংক্রমণ রোধে সরকারের বিধিনিষেধের কারণে পহেলা বৈশাখের ব্যবসা হয়নি। তারপর চলমান লকডাউনের কারণে ঈদকেন্দ্রিক ব্যবসা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা। তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট ও বিপণিবিতান খুলে দেওয়ার দাবি করছেন। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে দোকানমালিকদের ধৈর্য ধরতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন দাবি করেছেন, গত সোমবার রাতে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের সঙ্গে টেলিফোনে তার কথা হয়েছে। হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে বলা হয়েছে, এ মুহূর্তে জীবনটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমবার আমরা মহামারি মোকাবিলা করতে পেরেছিলাম। কিন্তু করোনার এখনকার ধরন খুব খারাপ। যখন কেউ ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হচ্ছে, তখন সে বুঝতে পারে না। যখন বুঝতে পারে, তখন তাদের অনেককে বাঁচানো যাচ্ছে না। ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা কষ্ট করছে, সেটি আমরা দেখছি। আপনারা আরেকটু কষ্ট করেন। কারণ জীবনটা আগে বাঁচাতে হবে। আমরা দোকানপাট ও বিপণিবিতান খোলার বিষয়ে দ্রুতই সিদ্ধান্ত দেব।’
আগামী সোমবার থেকে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট ও বিপণিবিতান খুলে দিতে আমি দোকান মালিক সমিতি আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে দোকানপাট ও বিপণিবিতান খুলে দেওয়ার দাবি জানায়। গত রোববার সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানিয়েছিল সংগঠনটি। তবে চলমান লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়ে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়। আর গত সোমবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক ব্রিফিংয়ে জানান, জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে সরকার ঈদের আগে লকডাউন শিথিলের চিন্তাভাবনা করছে।
এদিকে হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘আগামী সোমবার থেকে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট ও বিপণিবিতান খুলে দিতে আমি সরকারের শীর্ষ মহলকে অনুরোধ করেছি। সে জন্য আগামী রোববার একটি ঘোষণা দেওয়ারও অনুরোধ জানিয়েছি। যদিও এ বিষয়ে “হ্যাঁ-না” কিছুই বলা হয়নি। তবে আমরা আশা করছি, দ্রুতই একটি সিদ্ধান্ত আসবে।’
নিউজবাংলাদেশ.কম/এএস