৬৬ কোম্পানি থেকে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৬৬টি কোম্পানি থেকে ফ্লোর প্রাইসের (পতনের সর্বনিম্ন সীমা) নির্দেশনা প্রত্যাহার করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। যা আগামি বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হবে।
বুধবার কমিশনের ৭৬৯তম নিয়মিত সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিএসইসির নির্বাহি পরিচালক ও মূখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
ফ্লোর প্রাইসের নির্দেশনা প্রত্যাহার করে নেওয়া কোম্পানিগুলো হচ্ছে- পিপলস লিজিং এ্যান্ড ফাইন্যান্স, আরএন স্পিনিং, বাংলাদেশ সাভিসেস, আইএফআইএল ইসলামি ফান্ড, জাহিন স্পিনিং, রিং সাইন টেক্সটাইল, অলিম্পিক এক্সেসরিজ, ডিবিএইচ ফার্স্ট ফান্ড, ফনিক্স ফাইন্যান্স ফার্স্ট ফান্ড, নূরানি ডায়িং, রিজেন্ট টেক্সটাইল, এসইএমএল এফবিএলএসএল গ্রোড ফান্ড, ইভেন্স টেক্সটাইল, প্যাসিফিক ডেনিমস, মেট্রো স্পিনিং, কাট্টালি টেক্সটাইল, ফার কেমিক্যাল, দেশবন্ধু পলিমার, ইয়াকিন পলিমার, সাফকো স্পিনিং, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, সেন্ট্রাল ফার্মা, বিচ হ্যাচারি, সিমটেক্স, হামিদ ফেব্রিক্স, শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, প্রাইম টেক্সটাইল, সায়হাম কটন মিলস, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস, গোল্ডেন হারভেস্ট, এএফসি এ্যাগ্রো, বেঙ্গল উইন্ডসর, খুলনা প্রিন্টিং, সিলভা ফার্মা, ইন্দো বাংলা ফার্মা, আর্গন ডেনিমস, কপারটেক, শাশা ডেনিমস, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ, এস্কয়ার নিটিং কম্পোজিট, ভিএফএস থ্রেড, আইপিডিসি ফাইন্যান্স, ফনিক্স ফাইন্যান্স, এডভেন্ট ফার্মা, আরএসআরএম, কুইন সাউর্থ টেক্সটাইল, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ওয়াইম্যাক্স ইলেক্ট্রোড, রুপালি ব্যাংক, সায়হাম টেক্সটাইল, সোনারগাও টেক্সটাইল, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালস, নাভানা সিএনজি, ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই, ইউনিক হোটেল, স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স, ফারইস্ট ইসলামি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, উত্তরা ফাইন্যান্স, উসমানিয়া গ্লাস, খুলনা পাওয়ার, নাহি এ্যালুমিনিয়াম, দুলামিয়া কটন, সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজ, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, এমএল ডায়িং।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার্থে ও পুঁজিবাজারের উন্নয়নে প্রাথমিকভাবে ওই ৬৬টি কোম্পানি থেকে ফ্লোর প্রাইসের নির্দেশনা প্রত্যাহার করা হয়েছে। যা গতবছরের ১৯ মার্চ করোনা মহামারির কবলে পতনরোধে দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে ১১০টি কোম্পানি সিকিউরিটিজ ফ্লোর প্রাইসে আটকে আছে। এর মধ্যে ৬৬টি থেকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। বাকিগুলোর ক্ষেত্রে পরবর্তীতে সম্ভবত ২ ধাপে ফ্লোর প্রাইসের নির্দেশনা তুলে নেওয়া হবে।
কমিশনের এই নির্দেশনার ফলে ফ্লোর প্রাইসে আটকে থাকা শেয়ারগুলোর লেনদেন শুরু হওয়ার সুযোগ তৈরী হয়েছে। যেগুলোর অধিকাংশই দীর্ঘদিন ধরে কেনাবেচা বন্ধ রয়েছে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এমএজেড/এএস