প্রণোদনার অর্থ সহজে ছাড়ার দাবি এফবিসিসিআইর
সরকারের আর্থিক প্রণোদনা ঘোষণার অর্থ ব্যাংকগুলোকে সহজে ছাড়ের দাবি জানিয়েছে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই)।
বুধবার দুপুরে মতিঝিলের এফবিসিসিআই কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন সংগঠনটির সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, করোনা ভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের (এসএমই) জন্য ২০ হাজার কোটি টাকা এবং বৃহৎ শিল্পের জন্য ৩০ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা ঘোষণা করেছে সরকার। এ প্রণোদনার অর্থ ব্যবসায়ীরা যাতে সহজে পান সে জন্য আমরা ব্যাংকগুলোকে আহ্বান জানাচ্ছি।
একই সঙ্গে প্রণোদনা সংক্রান্ত বিধি-বিধানগুলি সহজতর ও সঠিকভাবে সংজ্ঞায়িত করে সার্কুলার সংশোধন করতে সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছে এফবিসিসিআই।
আমি সব সময় বলে এসেছি কোনো অবস্থাতেই ব্যাংকিং অবস্থার উপর চাপ দিয়ে কোনো সুপারিশ যেন না আসে উল্লেখ্য করে তিনি বলেন, কোনো স্টেকহোল্ডারকে চাপে রেখে সামনের দিকে এগোনো আমাদের প্রয়োজন নেই। তবে মানবিক দিক বিবেচনা করে সবাইকে আন্তরিক হতে হবে।
সব স্টেকহোল্ডার ও গ্রাহক যাতে ন্যূনতম সময়সীমার মধ্যে তহবিল পেতে পারে সেজন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। ঋণের জন্য আবেদন, প্রসেসিং অনুমোদন ও বিতরণ প্রক্রিয়া ন্যূনতম সময়ের মধ্যে সম্পাদন করা বাঞ্ছনীয়। বাংলাদেশ ব্যাংক ও অন্যান্য ব্যাংকের বিদ্যমান সাধারণ এসওপি প্রণোদনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হওয়া উচিত নয়।
আরও বলেন, প্রকল্প নির্ধারণ ও পর্যালোচনা, বিশেষ করে কুটিরশিল্প, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ক্ষেত্রে রিস্ক এভার্শন, স্যাটিসফেক্টরি ট্রান্সসেশন অ্যান্ড মিনিমাম রেটিং স্ট্যান্ডার্ড ইত্যাদি একমাত্র ক্রাইটেরিয়া হিসেবে বিবেচিত হওয়া উচিত নয়। বরং বর্তমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে ঋণগ্রহিতাদের ইতিবাচকভাবে মূল্যায়ন করা জরুরি।
ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ সুষ্ঠু ও কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন তদারকির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের স্পেশাল মনিটরিং ইউনিটকে দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে। এই ইউনিটকে প্রয়োজনে পুনর্গঠন করা যেতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এমএজেড/এএস