২ মে থেকে পর্যায়ক্রমে সব কারখানা চালু হবে, তবে...
অর্থনীতির চাকা সচলে বর্তমানে সীমিত আকারে পোশাক কারখানা খোলা হলেও আগামী ২ মে থেকে পর্যায়ক্রমে দেশের সব কারখানা চালু করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) প্রথম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। একইসঙ্গে শ্রমিকদের এখনই গ্রাম থেকে না ফেরার পরামর্শও দেন তিনি।
সোমবার রাতে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা জানান।
মোহাম্মদ হাতেম বলেন, করোনাভাইরাস রোধে দেশজুড়ে লকডাউনের মধ্যেই পর্যায়ক্রমে খুলছে পোশাকশিল্প কারখানা। গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি পর্যায়ক্রমে খুললেও এই মুহূর্তে দূর-দূরান্ত থেকে শ্রমিক ভাই-বোনদের কর্মস্থলে না ফেরার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
আরও বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে যেমন-ফ্যাক্টরিতে ঢোকার আগে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা, ব্লিচিংমিশ্রিত পানিতে জুতা ভিজিয়ে প্রবেশ করা, থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে তাপমাত্রা পরিমাপ করা, মাস্ক ব্যবহার করা, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চত করে কর্ম পরিচালনা করা, স্বাস্থ্যবিধিগুলো যতটুকু আমাদের দ্বারা সম্ভব আমরা গ্রহণ করেছি।
প্রথম সহ-সভাপতি বলেন, জীবন-জীবিকার সন্ধানে আমাদের নামতে হবে। করোনাভাইরাসের কারণে স্থবির হয়ে যাওয়া অর্থনীতির চাকাকে আবারও সচল করতে হবে। এমনই অবস্থার প্রেক্ষাপটে স্বাস্থ্যসুরক্ষা মেনে গত রোববার থেকে নিটওয়ার সেক্টরের নীটিং, ডায়িং ও স্যাম্পল ইউনিট খুলে দেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছিল বিকেএমইএর পক্ষ থেকে। ২ মে থেকে গার্মেন্ট শাখাও খোলার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
তবে জরুরি প্রয়োজনে গত রোববার থেকেই অল্প পরিশরে গার্মেন্ট শাখা খোলা যাবে বলেও পরামর্শ দেয়া হয়েছিল। সে অনুযায়ী সোমবার ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিকেএমইএর ৮৩৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০৪টি প্রতিষ্ঠান স্বল্প পরিসরে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। সোমবার আরও ৫৪টি ফ্যাক্টরি খুলেছে বলে জানান তিনি।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এমএজেড/ডি