ফসল উৎপাদনে ৪ শতাংশ সুদে ঋণ সুবিধা পাবে কৃষকরা
ধান, গম, আলু, ভুট্টাসহ সব ধরনের শস্য ও ফসল উৎপাদনে ৪ শতাংশ হারে সুদহারে ঋণ পাবে কৃষকরা। নতুন ঋণের পাশাপাশি আগের ঋণেও এই রেয়াতি সুদহার কার্যকর হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সোমবার এ নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
কৃষি ঋণের সাধারণ সুদহার ৯ শতাংশ, এর ৫ শতাংশ ভর্তুকি দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে কৃষকের সুদ কমে হবে ৪ শতাংশ। ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত এ সুবিধা পাবেন কৃষকেরা।
এর ফলে কৃষি খাতে সব ধরনের ঋণের সুদহার কমে ৪ শতাংশ হলো। এর আগে ১৩ এপ্রিল বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, করোনাভাইরাসের কারণে কৃষকের জন্য দেওয়া ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজের সুদহার হবে ৪ শতাংশ। ওই তহবিল থেকে চলতি মূলধন পাবে মৌসুমভিত্তিক ফুল ও ফল চাষ, মাছ চাষ, পোলট্রি ও ডেইরি এবং প্রাণিসম্পদ খাত। তবে শস্য ও ফসল খাত এর বাইরে ছিল। এ ছাড়া আগে থেকে আমদানি বিকল্প ফসল, ডাল, তেলবীজ, মসলা জাতীয় ফসল ও ভুট্টা চাষের জন্য ৪ শতাংশ সুদে কৃষকেরা ঋণ পাচ্ছেন।
করোনাভাইরাসের কারণে এখন থেকে আমদানি বিকল্প এসব ফসলের পাশাপাশি ধান, গমসহ সব দানা শস্য, অর্থকরী ফসল, শাকসবজি ও কন্দাল ফসল চাষের জন্যও ৪ শতাংশ রেয়াতি সুদহারে ঋণ পাবেন কৃষকেরা। এখন কৃষির প্রায় সব খাতই ৪ শতাংশ ঋণের আওতায় এল।
সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান প্রথম আলোকে বলেন, কৃষকদের প্রকৃত সুবিধা দিতে সুদ হার শূন্য শতাংশে নামিয়ে আনা উচিত। কৃষকেরা প্রকৃত মূল্যও পান না। এ জন্য এবার স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় সরাসরি কৃষকদের থেকে ন্যায্যমূল্যে ধান কেনার উদ্যোগ নিতে হবে।
চলতি অর্থবছরে কৃষি খাতে ২৪ হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে ব্যাংকগুলো।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালায় বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে আগামী দিনে খাদ্যের উৎপাদন ও খাদ্য সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে কৃষি খাতে শস্য ও ফসল চাষের জন্য কৃষক পর্যায়ে স্বল্প সুদে কৃষি ঋণ সরবরাহ করা অত্যাবশ্যক। এ জন্যই শস্য ও ফসল খাতে ৪ শতাংশ সুদে ঋণ বিতরণের নির্দেশ দেওয়া হলো।
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী হোসেন প্রধানিয়া এ নিয়ে প্রথম আলোকে বলেন, কৃষি ঋণের বড় অংশই শস্য ও ফসল উৎপাদন খাতে যাবে। এর ফলে কৃষকেরা উপকৃত হবেন।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি