ভ্যাট আদায় ৬ হাজার কোটি টাকা
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) প্রায় ৩১ হাজার রিটার্ন দাখিলের মাধ্যমে মূল্য সংযোজন কর (মূসক বা ভ্যাট) আদায় হয়েছে ছয় হাজার কোটি টাকার বেশি।
বৃহস্পতিবার এনবিআরের জনসংযোগ দপ্তর এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
মহামারী করোনা ভাইরাস ঝুঁকি নিয়ে এনবিআরের ২৫২টি ভ্যাট সার্কেল সীমিত আকারে ৪ দিন খোলা ছিল। এই সময় প্রায় ৩১ হাজার রিটার্ন দাখিল করে ব্যবসায়ীরা। আর ওই সময় ভ্যাট আদায় হয় ছয় হাজার কোটি টাকার বেশি।
ভ্যাট রিটার্ন দাখিলের সুবিধার্থে সাধারণ ছুটির মধ্যে ভ্যাট সার্কেল অফিসসমূহ ১২ থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত খোলা রাখার সিদ্ধান্ত হয়। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত রিটার্ন দাখিল করা যাবে এমন ঘোষণা দিয়েছিল এনবিআর।
এদিকে, করোনার মধ্যে ভ্যাট অফিস খোলার সিদ্ধান্তকে আত্মঘাতী বলছেন অনেক ব্যবসায়ী। কিন্তু আইনি বাধ্যবাধকতা আর জরিমানা ছাড়াই রিটার্ন দাখিলে সহায়তার জন্য অফিস খোলা রাখা হয়।
এই দুর্যোগে আহরিত এই রাজস্ব সরকারের জন্য আশীর্বাদ হিসেবে দেখছেন এনবিআর।
এনবিআরের আওতাধীন এলটিইউসহ ১২টি ভ্যাট কমিশনারেট এবং ২৫২টি ভ্যাট সার্কেল রয়েছে। দেশে বর্তমানে ভ্যাট নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা এক লাখ ৫৩ হাজার ৫৬৯টি। জরিমানা ছাড়াই রিটার্ন দাখিলে ১২ থেকে ১৫ এপ্রিল চার দিনের জন্য অফিস খোলা রাখা হয়।
এনবিআর সূত্র জানায়, চার দিনে মোট ৩০ হাজার ৭৮১টি রিটার্ন জমা পড়েছে। এর মধ্যে ম্যানুয়াল দাখিলপত্র ১০ হাজার ৯৯৫টি আর অনলাইনে দাখিলপত্র ১৯ হাজার ৭৮৬টি। চার দিনে রাজস্ব আদায় ছয় হাজার ২৮৩ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।
এলটিইউসহ ১২টি কমিশনারেটের মধ্যে রাজস্ব আদায় এগিয়ে এলটিইউ। এলটিইউতে ৪ দিনে মোট রিটার্ন দাখিল হয়েছে ১২৬টি। ওই সময় রাজস্ব আদায় হয়েছে ৪ হাজার ১৯৯ কোটি সাত লাখ টাকা।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এমএজেড/এফএ