আন্ওয়ার আহমদ স্মৃতিপদক পেলেন কবি অদ্বৈত মারুত

কবি ও সাংবাদিক আন্ওয়ার আহমদের জন্মদিন উপলক্ষে বগুড়ায় অনুষ্ঠিত হলো স্মরণসভা ও স্মৃতিপদক প্রদান অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে লিটল ম্যাগাজিন সম্পাদনার জন্য ‘পাঁপড়’ সম্পাদক কবি অদ্বৈত মারুতকে ‘কবি সম্পাদক আন্ওয়ার আহমদ স্মৃতিপদক ২০২০’ প্রদান করা হয়।

শুক্রবার রাতে লেখক চক্রের আয়োজনে শহরের ঠনঠনিয়াস্থ ইউটিআই মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় এ স্মরণসভা। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের উপদেষ্টা, শিশু সংগঠক এ্যাড. পলাশ খন্দকার।

স্মরণসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি ও শব্দ সম্পাদক সরোজ দেব। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি কবি ইসলাম রফিক। বাচিক শিল্পী শাহানূর শাহিন ও প্রাবন্ধিক এস এম আনিছুর রহমানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কথাসাহিত্যিক সাজাহান সাকিদার, কবি ও এ্যালবাম সম্পাদক মনজু রহমান, বগুড়া লেখক চক্রের উপদেষ্টা কবি শিবলী মোকতাদির, বগুড়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জে এম রউফ, কবিপুত্র নাজিম আনওয়ার রূপম, কবি সাংবাদিক মামুন রশীদ এবং কবি-সাংবাদিক আহমেদ জুয়েল। 

শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন গবেষক নজরুল ইসলাম, কবি করিম মোহাম্মদ, গাবতলি সরকারি কলেজের প্রভাষক শাহিনুর রহমান, বগুড়া জেলা স্কুলের শিক্ষক অনন্য রাসেল। স্মরণসভায় লিটল ম্যাগাজিন সম্পাদনার জন্য ‘পাঁপড়’ সম্পাদক কবি অদ্বৈত মারুতকে ‘কবি সম্পাদক আন্ওয়ার আহমদ স্মৃতিপদক ২০২০’ প্রদান করা হয়। প্রধান অতিথি কবি সরোজ দেব তার হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন।

অনুষ্ঠানে কবির জীবনী পাঠ করেন শৈবাল নূর। আন্ওয়ার আহমদের কবিতা পাঠ করেন সাফওয়ান আমিন, বেলাল সরকার, ডালিম রায়, মাহবুব এ ইলাহী মিঠু, মেরিনা জামান, এনায়েত হোসেন, হাদিউল হৃদয়, হিরণ্য হারুন এবং রনি বর্মন। 

স্মরণসভা উপলক্ষে ইসলাম রফিক সম্পাদিত একটি স্যুভেনির প্রকাশিত হয়।

স্মরণসভায় বক্তারা বলেন, “আন্ওয়ার আহমদ সারাজীবন নিঃস্বার্থভাবে সাহিত্যের জন্য কাজ করে গেছেন। লেখক তৈরিতে তার অবদান ছিল অসামান্য। তিনি সম্পাদক হিসেবে ছিলেন জেদী। তরুণ লেখক তৈরিতে তার অবদান ছিলো অসামান্য। তিনি তরুণদের ধরে ধরে লেখা শেখাতেন। সাহিত্যের জন্য তিনি সব ত্যাগ করেছেন, বর্তমানের অনেক বিখ্যাত লেখকের জন্ম তার হাত দিয়ে।”

বক্তারা আরো বলেন, “তরুণদের পাঠের মাধ্যমেই আন্ওয়ার আহমদ বেঁচে থাকবেন। কেননা তিনি ছিলেন চিরতরুণ।”

উল্লেখ্য, কবি সাংবাদিক সম্পাদক কবি আন্ওয়ার আহমদের জন্ম ১৯৪১ সালের ১৩ মার্চ বগুড়ায়। তিনি ২০০৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।