কথাশিল্পী শওকত ওসমানের ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী
কথাশিল্পী শওকত ওসমানের ২২তম মৃত্যু বার্ষিকী বৃহস্পতিবার। মহামারী করোনার কারণে এবার কোনো অনুষ্ঠান ছাড়াই পার হবে তার মৃত্যুবার্ষিকী। অবস্থার উন্নতি সাপেক্ষে পরর্বতীতে অনুষ্ঠানের তারিখ ও স্থানের বিষয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে শওকত ওসমান স্মৃতি পরিষদ।
১৯৯৮ সালের ১৪ মে কথাশিল্পী শওকত ওসমান মস্তিষ্কের সেরিব্রেয়াল অ্যাটাকে অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। পরে তাঁকে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।
কথাশিল্পী শওকত ওসমানের জন্ম পশ্চিমবঙ্গের হুগলী জেলার সবল সিংহপুর গ্রামে। তার পিতা শেখ মোহম্মদ ইয়াহিয়া, মাতা গুলেজান বেগম।
তাঁর পিতৃ প্রদত্ত নাম ছিল শেখ আজিজুর রহমান। পরে তিনি ছদ্মনাম গ্রহণ করেন শওকত ওসমান। আজ তাঁর আসল নাম শেখ আজিজুর রহমান ছদ্মনামের আড়ালে ঢাঁকা পড়েছে।
১৯৪৭ সালে, ভারত বিভাগের সময় তিনি স্বেচ্ছায় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের চট্টগ্রামের সরকারি কমার্স কলেজে যোগদান করেন। পরর্বতীতে ১৯৫৯ সালে ঢাকা কলেজে বদলি হন এবং ১৯৭২ সালের ১ এপ্রিল স্বেচ্ছা অবসর গ্রহণ করেন। তিনি ছোটগল্প, উপন্যাস, কবিতা, নাটক, প্রবন্ধ, শিশু সাহিত্য, অনুবাদ সাহিত্যসহ প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে অবাধ বিচরণ করেছেন।
শওকত ওসমানের উল্লেখ্যযোগ্য উপন্যাসের মাঝে রয়েছে, জননী, ক্রীতদাসের হাসি, ঈশ্বরের প্রতিদ্বন্দ্বী, জাহান্নাম হইতে বিদায়, দুই সৈনিক, ওটেন সাহেবের বাংলো, বনি আদম, পঞ্চসঙ্গী, বিশেষ রূপে। এর মাঝে ‘জননী’ ও ‘ক্রীতদাসের হাসি’ ধ্রুপদী সাহিত্যের মর্যাদা লাভ করেছে।
শওকত ওসমান তাঁর সাহিত্যকর্মের স্বীকৃতি স্বরূপ নাসিরুদ্দিন স্বর্ণ পদক, আদমজী পুরস্কার, মুক্তধারা, ফিলিপস সাহিত্য, বাংলা একাডেমি, একুশে পদক, স্বাধীনতা দিবস ও টেনাশিস্ পুরস্কার পেয়েছেন।
প্রখ্যাত সাংবাদিক সন্তোষ গুপ্ত, কথাশিল্পী শওকত ওসমানকে বাংলার র্গোকি বলে চিহ্নিত করেন, কারণ কথাশিল্পী শওকত ওসমান আজীবন তাঁর লেখনীর মাধ্যমে নিপীড়িত জনগণের কথা বলেছেন। আর সর্বদা স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এফএ