রোমেন রায়হান
আমরা করোনা চাষী
আমরা করোনা চাষী
এই পরিচয়ে পরিচিত হতে আমরা যে ভালোবাসি।
শাইখ সিরাজের ‘মাটি ও মানুষ’ লাগে না করোনা চাষে
কেউ চাষাবাদ শিখতে চাইলে এই দেশে যেন আসে!
করোনার চাষ করি পথেঘাটে, দোকানে, বাজারে, ভিড়ে
পদ্ধতিগুলো জানিয়ে দিচ্ছি বোকাসোকা পৃথিবীরে!
ফিসফিস করে বলি ‘ঘরে থাকো’, চিল্লায়ে বলি, শোনো!
আমাদের দেশে করোনা হবে না, ভয় টয় নাই কোনো।
মিছিমিছি কেন টেনশন নিয়ে ঘুরবে দেশের লোকে!
এতটা গরমে করোনা বাঁচে না, মরে যাবে হিট স্ট্রোকে।
তাপমাত্রায় যদি বেঁচে যায়! বৃষ্টিতে যাবে ভেসে
‘প্রস্তুতি’ নিয়ে উপর মহল বসে আছে এই দেশে।
ছড়িয়ে দিয়েছি থানকুনি পাতা, ছড়িয়েছি কালোজিরা
ইথানল ভাপ পদ্ধতি দিয়ে কমিয়েছি শিরঃপীড়া।
‘মামুন মারুফ’ ফর্মুলা দেবে, ওষুধ বানাবে ‘কাজী’
করোনার চাষে আমরাই সেরা, লাগতে পারেন বাজি!
চাষাবাদ নিয়ে কারো মনে বুঝি সন্দেহ দেয় উঁকি!
ভেজাল মাস্কে দেশ ভরিয়েছি, বাড়িয়ে দিয়েছি ঝুঁকি।
এত ডাক্তার, পুলিশরা রোজ হচ্ছে যে ধরাশায়ী!
যাচ্ছে না বোঝা? এগুলোর মূলে করোনার চাষ দায়ী!
টেস্ট সংখ্যাটা কমিয়ে রেখেছি সাহস জুগিয়ে যেতে
কত টেকনিক চালু রাখা লাগে দেশের করোনা ক্ষেতে!
করোনা চাষীরা বোকা হয় নাকি? চাষীর বুদ্ধি পাকা
খোলা হয়ে গেছে কলকারখানা, ঘুরিয়ে দিয়েছি চাকা।
খুলে গেছে সব জিলাপি দোকান, প্রাণকাড়া ইফতারি!
খাবারের সাথে গলাগলি করে করোনারা যায় বাড়ি।
মল খোলা শেষ, লোক সমাগম এবার বাড়বে মলে
বোকা লোকেরাই করোনা চাষকে অনেক কঠিন বলে!
একেক দেশকে একেক কারণে চিনবে বিশ্ববাসী
আমাদের নাম জানবে কারণ আমরা করোনা চাষী।