গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ২৫ মার্চ
গ্রাহকের তথ্য পাচারের অভিযোগে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত টেলিকমিনিকেশন খাতের কোম্পানির গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন পিছানো হয়েছে। প্রতিবেদন জমা দেওয়ায় জন্য আগামী ২৫ মার্চ পরবর্তী নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ায় দিন ধার্য ছিল। তবে তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমাম নতুন এই তারিখ ধার্য করেন। গত ১৫ ডিসেম্বর রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি দায়ের করে পুলিশ।
জানা যায়, গ্রামীণফোনের বেশকিছু কর্মচারী গ্রাহকদের সিম নিবন্ধন তথ্যসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন তথ্য এক শ্রেনীর প্রতারক চক্রের কাছে পাচার করে আসছিল। পরে ওই চক্র গোপন তথ্য ফাঁস করার ভয় দেখাত ওই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের। চক্রটি তাদের বলত আপনার গোপন তথ্য আমাদের কাছে আছে। আমাদের টাকা না দিলে এ তথ্য ফাঁস করে দেব। পরে সামাজিক হয়রানি ও মর্যাদাহানীর ভয়ে অনেকে তাদের অর্থ দিতে বাধ্য হতেন। তাই বিটিআরসির নীতিমালা ভেঙে গ্রাহকদের তথ্য পাচার করায় গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে এই মামলা করা হয়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে জানা গেছে, পুঁজিবাজারে ২০০৯ সালে তালিকাভুক্ত হয়েছে গ্রামীণফোন। কোম্পানিটি ‘এ’ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে। এর অনুমোদিত মূলধন ৪ হাজার কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ৩৫০ কোটি ৩০ লাখ টাকা। গ্রামীণফোনের রিজার্ভ রয়েছে ১ হাজার ৬৯২ কোটি টাকা। ডিসেম্বর ২০১৯ সালে বছরের হিসেবে স্বল্পমেয়াদি লোন ২৯৩ কোটি ৪২ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্ত পরিচালক ৯০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগ ৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ ও সাধারন বিনিয়োগকারী ২ দশমিক ১১ শতাংশ শেয়ার ধারন করেছে। বর্তমানে কোম্পানির শেয়ার প্রতি দর দাঁড়িয়েছে ৩৫৪ টাকায়।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এমএজেড/এএস