গাজীপুরে নাচতে ডেকে কিশোরীকে গণধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৫
গাজীপুর সিটির সারদাগঞ্জ এলাকায় গত রোববার রাতে একটি স্টেজ শোতে নাচের কথা বলে মুঠোফোনে ডেকে নিয়ে এক কিশোরীকে (১৬) দল বেঁধে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ বুধবার পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা হলেন গাজীপুর সিটির সারদাগঞ্জ এলাকার আজিজুল খানের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম ওরফে শুভ (২৩), টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার খৈলসিন্দু গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে সুমন মিয়া (২৭), ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার ভদ্রাসন গ্রামের মোতালেব তালুকদারের ছেলে রাসেল তালুকদার (৩৫), নওগাঁর আত্রাই থানার সমসপাড়া গ্রামের কোরান সরদার (৩২) ও একই গ্রামের জহির উদ্দিন (৩২) এবং রংপুরের হারাগাছা থানার গোফরটারনী এলাকার বকুল মিয়ার ছেলে সাহাবুল ওরফে সাইজুল (৩৭)।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুরের সারদাগঞ্জ এলাকার ওই কিশোরী নাচ ও স্টেজ প্রোগ্রাম করে। রোববার রাতে তার এক সহকর্মীর কাছে জাহাঙ্গীর নামের একজন ফোনে স্টেজ প্রোগ্রামের কথা বলে একজন নৃত্যশিল্পী চান। পরে ওই ব্যক্তি জাহাঙ্গীরকে ওই কিশোরীর সঙ্গে যোগাযোগের জন্য তার মুঠোফোন নম্বর দেন। জাহাঙ্গীর ওই কিশোরীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে সে ওই অনুষ্ঠানে নাচার জন্য রাজি হয়। রোববার রাত ৮টার দিকে বাড়ি থেকে ইজিবাইকে রওনা হয়ে কিশোরী কাশিমপুরের হাতিমারা এলাকায় যায়। সেখানে জাহাঙ্গীর ও তার আরও দুই সহযোগী তাকে সারদাগঞ্জের বর্ষাডেঙ্গা এলাকার রাসেল তালুকদারের টিনশেড ঘরে নিয়ে যান।
সেখানে নেওয়ার পর কিশোরী খালি বাসা দেখে জানতে চায়, এ বাসায় কোনো লোকজন নেই? তখন রাসেল তালুকদার জানান, তার বউ বাপের বাড়ি গেছেন। পরে কিছু বুঝে ওঠার আগে কিশোরীকে ওই ঘরের ভেতর আটকে পাঁচজন দল বেঁধে ধর্ষণ করেন। কথোপকথন থেকে তাদের নাম জানতে পারে কিশোরী। পরে ওই রাতে কৌশলে তাদের কাছ থেকে ছাড়া পেয়ে কিশোরী তার সহকর্মীর কাছে সব খুলে বলে এবং আজ সকালে মামলা করে। পরে কাশিমপুর থানার পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের ডিসি মো. জাকির হাসান বলেন, বিষয়টি তারা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছেন এবং অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আদালতের মাধ্যমে গাজীপুর জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।