পাকিস্তানে্র রোমাঞ্চিত জয়
টেস্টে হোয়াইটওয়াশের পর টি-টোয়েন্টিতেও রোমাঞ্চ দিয়ে শুরু করেছে পাকিস্তান। লাহোরের গাদ্দাফী স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার রাতে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তান জয় পেলেও সেটা ছিল বেশ শ্বাসরূদ্ধকর জয়। ১৬৯ রান করার পর জবাব দিতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকাকে পাকিস্তানি বোলাররা থামাতে পেরেছিল ১৬৬ রানে। বাবর আজমের দল জিতেছে মাত্র তিন রানের ব্যবধানে।
লাহোরে টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক হেনরিক ক্লাসেন পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায়। ফলে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ছয় উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান।
সেঞ্চুরি করেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। ব্যাট হাতে ইনিংস ওপেন করতে নেমে ৬৪ বলে ১০৪ রান করেন এই পাকিস্তানি ওপেনার। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ছয়টি বাউন্ডারি এবং সাতটি ছক্কার মারে।
ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বাবর আজমের উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে পাকিস্তান। কিন্তু মোহাম্মদ রিজওয়ান এবং হায়দার আলি সেই বিপর্যয় সামাল দিয়ে ঘুরে দাঁড়ান। ১৬ বলে ২১ রান করে হায়দার আলি আউট হয়ে যান। হুসাইন তালাত ১১ বলে করেন ১৫ রান। ইফতিখার আহমেদ করেন চার রান।
খুশদিল শাহ করেন ১২ রান। ফাহিম আশরাফ আউট হয়ে যান চার রান করে। মোহাম্মদ নওয়াজ অপরাজিত থাকেন তিন রান করে। অন্যরা আসা যাওয়ার মধ্যে থাকলেও একপাশ আগলে রেখে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন রিজওয়ান এবং দুর্দান্ত সেঞ্চুরিটি উপহার দেন। প্রোটিয়া বোলারদের মধ্যে দুই উইকেট নেন আন্দিল পেহলুকাইয়ো। একটি করে উইকেট নেন বিজর্ন ফরচুন, লুথো শিপমালা এবং তাবরিজ শামসি।
জবাবে শুরুতে প্রোটিয়া ওপেনারই ভয় ধরিয়ে দিয়েছিল পাকিস্তানিদের মনে। দু’জনের ব্যাটে ৪১ বলে গড়ে ওঠে ৫৩ রানের জুটি। ২৯ বলে ৪৪ রান করে আউট হন জানিমান মালান। ৪২ বলে রানআউট হন রিজা হেন্ডরিক্স।
দুই ওপেনারের পর অবশ্য তেমন আর কোনো ব্যাটসম্যান দাঁড়াতে পারেননি। জ্যাক স্নিম্যান করেন দুই রান। ডেভিড মিলার করেন ছয় রান। হেনরিক্স ক্লাসেন করেন ১২ রান। আন্দিল পেহলুকাইয়ো করেন ১৪ রান। ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস অপরাজিত থেকে যান ১৫ রানে এবং বিজর্ন ফরচুন অপরাজিত থেকে যান ১৭ রানে।
শেষ পর্যন্ত ছয় উইকেট হারিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা থেমে যায় ১৬৬ রানে। পাকিস্তানের হয়ে হারিস রউফ এবং উসমান কাদির নেন দুটি করে উইকেট।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এসএস/এফএ