ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে হ্যাট্রটিক সিরিজ জয় টাইগারদের
হেসে খেলেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৭ উইকেটে হারাল বাংলাদেশ। সিরেজের প্রথম ওয়ানডের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও টাইগারদের সাথে লড়াই করতে পারেনি সফরকারী দলটি।
শুক্রবার মিরপুরে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ১৪৮ রানে অলআউট হয় সফরকারীরা। জবাবে ১০০শত বল হাতে রেখে ৪৩.৪ ওভারে মাত্র তিন উইকেটে ১৪৯ পূর্ণ করে টিম বাংলাদেশ। ফলে ৭ উইকেটে বড় জয় নিয়ে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে ২-০তে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। ওয়ানডে ক্যারিয়ান সেরা বোল করে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেছেন স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ।
ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে এটি বাংলাদেশের টানা তৃতীয় ওয়ানডে সিরিজ জয়। সর্বশেষ সাত ম্যাচের সবগুলোতেই জয় টাইগাররাদের। সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচটি আগামী ২৫ জানুয়ারি চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হবে।
নতুন বছরের শুরুতেই বাংলাদেশের এই পারফরম্যান্স অবশ্যই সারা বছরের বাকি ম্যাচগুলোতে শক্তিযোগাবে। একই সাথে আইসিসির নতুন ওয়ানডে লীগে দুই জয়ে বাংলাদেশের পয়েন্ট এখন ২০। জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন কুমার দারুণ শুরু করে। ওপেনিং জুটিতে তাদের ব্যাট থেকে আসে ৩০ রান। লিটন ব্যক্তিগত ২২ রানে বিদায়ের পর নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে দলকে এগিয়ে নেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
ব্যক্তিগত ১৭ রান করে শান্ত বিদায় নেন দলীয় ৭৭ রানের মাথায়। এরপর তামিম ইকবালের সাথে শক্ত জুটি গড়েন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এরপর তামিম দ্রতই ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৪৮তম হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিন বাউন্ডারি ও এক ছক্কায়। অবশ্য ৭৬ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করে সাজঘরে ফেরেন তামিম। শেষ মহুর্তে অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমকে সাথে নিয়ে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন সাকিব আল হাসান। সাকিব ৫০ বলে চার বাউন্ডারিতে অপরাজিত ৪৩ ও মুশফিক ৯ রান করে অপরাজিত থাকেন।
প্রথম ম্যাচে উইকেটে বাংলাদেশের বোলিংয়ের বিপক্ষে টিকেছিলেন ৩২.২ পর্যন্ত। দ্বিতীয় ম্যাচে জেসন মোহাম্মদের দলটি ৪৩.৪ ওভার ব্যাট করেন। অর্থাত ১১.২ ওভার বেশি সময় ব্যাট করে ২৬ রান বেশি করতে স্বক্ষম হয় দলটি।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে থেকেই নিয়মিত উইকেট হারায় সফরকারী দলের ব্যাটসম্যানরা। মুস্তাফিজ,মেহেদী ও সাকিবদের বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের টপঅর্ডারের কোন ব্যাটসম্যান। এদিন ইনিংসের পঞ্চম ওভারে মুস্তাফিজের বলে ব্যক্তিগত ৬ রান করে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ওপেনার সুনিল আমব্রিস।
এরপর ক্যারিবিয়ান শিবিরে ১৪তম ওভারে জোড়া আঘাত হানেন স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। ৩১ বছর বয়সে ক্যারিবিয়ানদের হয়ে অভিষেক হওয়া ওটলিকে ফেনার মিরাজ। অভিষেক ইনিংস শেষ ৪৪ বলে ২৪ রান করে মিরাজের বলে তামিম ইকবালের তালুবন্দি হন। এরপর জশুয়া ডা সিলভা ৫ রানে আউট হন।
এরপর সাকিব ফেরান আন্দ্রে ম্যাকার্থিকে। ব্যক্তিগত ৩ রান করে দলীয় ৩৯ রানে সরাসরি বোল্ড হন তিনি। এরপর মুস্তাফিজের বলে শুন্য রানে দলীয় ৪১ রানে রান আউটের শিকার হন কাইল মায়ারস।
১৭.৪ ওভারে সেরা ৪পাঁচ উইকেট হারিয়ে চমর ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে তারা। এরপর আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উছেন মিরাজ সাকিবরা। দলের পক্ষে রেয়মন রেইফার সর্বোচ্চ ৪১ রান করে দলীয় ২৯.৪ ওভারের মাথায় বিদায় নেন। তবে ১২০ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে শেষ মহুর্তে দলের স্কোর বাড়াতে দারুণ লড়াই করে আলঝারি জোসেফ ও আকিল হোসেন। শেষ জুটিতে তারা দলকে লজ্জার হাত থেকে বাঁচান। আলঝারিফ ব্যক্তিগত ১৭ রান করে বিদায় নিলেও আকিল অপরাজিত থাকেন ১২ রানে।
বল হাতে স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ ৯.৪ ওভার বোলিং করে ২৫ রানে শিকার করেন ৪ উইকেট। এছাড়া সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমান দুটি করে উইকেট নেন। আর দরুণ পেসার হাসান মাহমুদ নেন একটি উইকেট।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এসএস/এএস