২৮শ কোটি টাকা ব্যয়ে ডিজিটাল হচ্ছে বিচার বিভাগ
বিচার বিভাগ ডিজিটালাইজেশনের জন্য মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। ২০২০ সালের জুন থেকে ২০২৪ সালের জুন মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। খরচ ধরা হয়েছে দুই হাজার ৮৭৮ কোটি টাকারও বেশি। যার সম্পূর্ণ অর্থায়ন করবে সরকার।
গত ১২ জুন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল তার বাজেট বক্তৃতায় সংসদে বলেন, নিম্ন আদালতগুলোকে আইসিটি নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে ই-জুডিশিয়ারি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি আদালত ই-কোর্ট রুমে রূপান্তরিত হবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে যুগোপযোগী ভার্চুয়াল পদ্ধতির সর্বোচ্চ বিস্তার ঘটানো সম্ভব হবে। যার সুফল পাবেন বিচারপ্রার্থীরা। ই-জুডিশিয়ারি যখন হয়ে যাবে তখন শুধু ভার্চুয়াল কোর্টই নয়, সব কিছুই পেপারলেস হয়ে যেতে পারে
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের এ প্রকল্প বাস্তবায়নে কারিগরি সহায়তা দেবে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস)।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এ প্রকল্পের আওতায় দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট থেকে শুরু করে নিম্ন (বিচারিক) আদালত এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে ভার্চুয়াল পদ্ধতির আওতায় আনা হবে। আদালত এবং কারাগারে আটক ও অভিযুক্তদের মধ্যে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বিচারিক প্রক্রিয়া পরিচালনা, একটি স্বয়ংক্রিয় বিচারিক ব্যবস্থা এবং প্রশাসনিক কার্যক্রম চালুর জন্য সারাদেশে ই-কোর্ট রুম স্থাপন এবং বিচারক, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও আইনজীবীদের তথ্য-প্রযুক্তিগত জ্ঞান বাড়ানো হবে। এজন্য সুপ্রিম কোর্টে সেন্ট্রাল ডাটা সেন্টার স্থাপনের পাশাপাশি ৬৪ জেলায় মাইক্রো ডাটা সেন্টার স্থাপন করা হবে।
এছাড়া প্রকল্পের কার্যক্রমে যেসব বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে আইন ও বিচার বিভাগের ডাটা সেন্টার আপগ্রেডেশন ও নেটওয়ার্ক অপারেটর সেন্টার স্থাপন, বিচার ব্যবস্থার সব অফিসের জন্য ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) স্থাপন, বিচার ব্যবস্থার জন্য এন্টারপ্রাইজ আর্কিটেকচার উন্নয়ন এবং এন্টারপ্রাইজ রিসোর্স প্লানিং (ইআরপি) সফটওয়্যার উন্নয়ন।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে গত বছরের ২৬ মার্চ থেকে সারাদেশে নিয়মিত আদালত বন্ধ রাখা হয়। এ অবস্থায় বিচারপ্রার্থীদের কথা বিবেচনা করে ভার্চুয়াল আদালত পদ্ধতি চালু করা হয়। ৯ মে এ বিষয়ে অধ্যাদেশ জারি করে বিল আকারে জাতীয় সংসদে পাস করা হয়। অধ্যাদেশ জারির পর ১১ মে থেকে সারাদেশে ভার্চুয়াল আদালত কার্যক্রম শুরু হয়, যা অব্যাহত রয়েছে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি