পান খাইয়ে হত্যা করা হয় যশোরের কলেজ ছাত্র শিমুলক
যশোরের বাঘারপাড়ার ভাঙ্গুড়া কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থী শিমুল হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে যশোরের গোয়েন্দা পুলিশের একটি চৌকশ দল। শিমুল হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার দায়ে গতকাল সোমবার রাত ৯ টার দিকে বাঘারপাড়া উপজেলার দোগাছিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের মূল আসামী অমিতসহ ৫ জনকে আটক করেছে যশোর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সদস্যরা।
শিমুলকে উপজেলার রঘুরামপুর মন্দিরে পূজায় অনুষ্ঠান দেখার কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে তাকে পানের সাথে নেশাজাতীয় দ্রব্য (পাগলা পান) খাইয়ে প্রথমে তাকে মাতাল করে। এরপর তাকে গলা টিপে হত্যা করে। হত্যার পর লাশ রঘুরামপুর মাঠের মাঝে কাটাখালি খালের ফেলে রেখে চলে যায় তারা।
মঙ্গলবার দুপুরে যশোর পুলিশ সুপারের কার্যালয় এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে সাংবাদিকদের এমনটাই জানিয়েছে যশোরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন।
আটককৃতরা হলেন, প্রধান আসামি উপজেলার দোগাছিয়া এলাকার নিমাই গোলদারের ছেলে অমিত গোলদার (২২) ও সৌমিত গোলদার (২০), একই এলাকার পাগল চন্দ্র গোলদারের ছেলে লক্ষীকান্ত গোলদার (৪০), একই এলাকার মৃত জগবন্ধু বিশ্বাসের ছেলে কৃষ্ণপদ বিশ্বাস (৫০) এবং একই এলাকার রাম বিশ্বাসের ছেলে কৃষ্ণ বিশ্বাস (২৭)।
প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার জানান, কলেজছাত্র শিমুল হত্যাকাণ্ড চাঞ্চল্যকর হাওয়ায় ঘটনার পরপরই ঘটনা মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য তদন্তভার দেওয়া হয় যশোরের গোয়েন্দা পুলিশের অফিস ইনচার্জ সমেন দাসের কাছে। ১৬ জানুয়ারি বাঘারপাড়া থানায় হত্যা মামলা রেকর্ড হওয়ার পর গোয়েন্দাপুলিশের ইনচার্জ সমেন দাস গোয়েন্দা পুলিশের একটি চৌকস টিমটি নিয়ে বাঘারপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ফিরোজ আহমেদের সহযোগিতায় তথ্য উদঘাটনের জোর চেষ্টা চালিয়ে যায়।
প্রযুক্তির মাধ্যমে তারা জানতে পারে শিমুল হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি অমিত। এবং এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার দায়ে আরও চারজনকে শনাক্ত করে গোয়েন্দা পুলিশের দলটি। এক পর্যায়ে গতকাল সোমবার রাত নয়টার দিকে বাঘারপাড়া উপজেলার দোগাছিয়া এলাকা থেকে অমিত সহ ৫ জনকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা।
আটক হওয়া প্রধান আসামি অমিত প্রাথমিকভাবে শিমুল হত্যা বিষয়টি স্বীকার করেছে। আসামিদের আজ দুপুরের মধ্যে আদালতে হস্তান্তর করা হয় বলেও তিনি জানিয়েছেন।
নিউজবাংলাদেশ.কম/টিআইএম/এএস