News Bangladesh

শেখ হেদায়েতুল্লাহ, খুলনা || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৯:৩৩, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫
আপডেট: ১৯:৩৬, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫

ধান রোপন করে ৫০ কৃষককে ঘরে তুলে দেবে খুলনা কৃষি বিভাগ

ধান রোপন করে ৫০ কৃষককে ঘরে তুলে দেবে খুলনা কৃষি বিভাগ

খুলনায় কৃষি বিভাগের উদ্যোগে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে রোপন হচ্ছে ধানের চারা। ছবি: নিউজবাংলাদেশ

জমি তৈরি করে একদিনের মধ্যেই বীজ বপন। এরপর সময়তো সার ও বালাইনাশক প্রয়োগ করে ধান কেটে কৃষকের ঘরে তুলে দেয়া। এমন উদ্যোগ নিয়েছে খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। আর এ পদ্ধতিতে দেড়শ বিঘা জমিতে ৫০ জন কৃষক ঘরে তুলতে পারবেন ফসল। আর এর সবই বাস্তবায়ন করা হচ্ছে যন্ত্রের সাহায্যে।

মূলতঃ কৃষকের উৎপাদন খরচ কমাতে এবং কৃষিকে আধুনিকায়ন করাই এর লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। 

খুলনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার রুদাঘরা ব্লকের মিকশিমিল বিলে সোমবার সকাল ১০টায় এই যান্ত্রিক চাষাবাদের উদ্বোধন করা হয়। এই বিলের ৫০ জন জমির মালিক কৃষি বিভাগের এই বিশেষ সুবিধা পাচ্ছেন। 

সরকারের পক্ষ থেকে তাদের বীজ, সার, বালাইনাশকসহ সকল কৃষিসুবিধা সররাহ করে ধান চাষে করে তা কেটে আবার ঘরে তুলে দেয়া হবে। এছাড়া মাত্র ১ ঘণ্টায় ৬ লিটার পেট্রল খরচ করে ৩ বিঘা জমিতে ধান রোপন করা যায়। এজন্য তারা খুবই খুশি। 

সমলয় পদ্ধতিতে ধান রোপন, পরিচর্যাসহ ধান কেটে কৃষকের তুলে দেয়ার উদ্বোধনী এই অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মাদ আল আমিন, ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ ইনসাদ ইবনে আমিন, অতিরিক্ত কৃষি অফিসার মোঃ ওয়ালিদ হোসেন।

যান্ত্রিক উপায়ে সমলয় পদ্ধতিতে ডুমুরিয়া উপজেলায় ধান রোপন উদ্বোধনী করা হয়

ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ ইনসাদ ইবনে অঅমিন বলেন, সরকার সব সময়ে কৃষকের পাশে রয়েছেন। কৃষকরা যাতে আর্থিক সুবিধা পায় এজন্য নানা উদ্যোগ রয়েছে। তারই অংশ হিসেবে ডুমুরিয়া উপজেলার রুদাঘরা ইউনিয়নের রুদাঘরা ব্লকের মিকশিমিল বিলে ৫০ একর ( ১৫০ বিঘা) জমিতে ৫০জন কৃষকের ধান আবাদ সহযোগিতা করতে হাইব্রিড জাতের ব্রি ১০০ জাতের ধান রোপন করা হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনার উপ-পরিচালক, কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সমলয় পদ্ধতির সুবিধা হচ্ছে ট্রেতে বীজ বপন করায় জমির সুষম ব্যবহার হচ্ছে। তাছাড়া সাধারণ বোরো চাষের চেয়ে কমপক্ষে ২৫ দিন পূর্বেই ধান ঘরে উঠবে তাই অন্য ফসল উৎপাদনেও সময় নষ্ট হবে না।

খুলনা জেলা প্রশাসক, মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, কৃষিতে অর্থনীতির একটা প্রাণ প্রবাহ সৃষ্টি করার চেষ্টা থেকেই এই উদ্যোগ। তাছাড়া জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত করতে চেষ্টা করা হয়েছে। তারমধ্যে কৃষি বিভাগের উদ্যোগে মেশিনের মাধ্যমে কম সময়ে ধান রোপন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। 

নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়