ধানের বাজারে খুশি লালমনিরহাটের কৃষকরা
ছবি: সংগৃহীত
উত্তরের সীমান্তবর্তী লালমনিরহাট জেলা প্রধানত কৃষিনির্ভর। এ জেলায় মৌসুমী ধান কেটে গোলায় তোলার পরও অবশিষ্ট ধান বাজারে বিক্রি করে ন্যায্যমূল্য পেয়ে খুশি কৃষকরা। তবে গতবছরের তুলনায় এ বছর ধানের উৎপাদন খরচ বেড়েছে।
জানা গেছে, চলতি বছর প্রতি বিঘা (৩৩ শতাংশ) জমিতে ধানের উৎপাদন খরচ প্রায় সাড়ে ৮ হাজার টাকা। সেই সাথে প্রতি বিঘা জমিতে ধান উৎপাদন হয়েছে প্রায় ১৮ থেকে ২১ মন পর্যন্ত। এমনটাই জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কৃষকরা।
এর আগে গত মৌসুমে এ সময়ে প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছিলো ৯২০ টাকা থেকে ১১৫০ টাকা পর্যন্ত। কিন্তু চলতি বছর তা বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৩৪০ টাকা পর্যন্ত। তবে ধানের দাম আরও বৃদ্ধি পাবে বলে এমনটাই প্রত্যাশা করছেন কৃষকরা।
জেলার সদরের বড়বাড়ী ইউনিয়নের কৃষক জাহিদ হাসান গণমাধ্যমকে জানান, এবার ফলন আশানুরূপ ভালোই হয়েছে। পোকা-মাকড়ের সমস্যা তেমন ছিল না। ২ একর অর্থাৎ (২০০ শতাংশ) জমি থেকে ১২২ মণ ধান পেয়েছেন তিনি। তার খরচ হয়েছে প্রায় ৬৫ হাজার টাকা।
তিনি আরও বলেন, ধান গোলায় তোলার পর অবশিষ্ট বাকি ধান আজকে বড়বাড়ী বাজারে বিক্রি করলাম। বাজারে ২০ মণ ধান নিয়ে এসেছি। প্রতি মণ ধান বিক্রি হলো ১হাজার ৩০০ টাকা দরে। ২০ মণ ধান বিক্রি হয়েছে ২৬ হাজার টাকায়। বর্তমানে ধানের বাজারদরে খুশি আমি।
বড়বাড়ি বাজারের ধানের পাইকার ব্যবসায়ী ফারুক মিয়া গণমাধ্যমকে জানান, বাজারে এখনো পুরোদমে ধান না আসাতে খুব কম কৃষকই ধান হাটে এনে বিক্রি করছেন। অধিকাংশ কৃষক বাড়ি থেকে ধান বিক্রি করছেন। ধানের পাইকাররাও কৃষকের বাড়িতে গিয়ে ন্যায্য মূল্যে ধান কিনছেন। বর্তমানে তারা প্রতি মণ ধান ১ হাজার ২৯০ টাকা থেকে ১ হাজার ৩৪০ টাকা দরে কিনছেন বলেও জানান তিনি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মো. সাইফুল আরিফিন গণমাধ্যমকে বলেন, এ বছর বাজারে ধানের দাম ভালই । বর্তমানে যে ধানের বাজারদর তা কৃষকদের জন্য অনেক লাভজনক। তবে সারের দাম সরকারিভাবে কিছুটা বেড়েছে। তাছাড়াও এবার অনাবৃষ্টির কারণে আমন চাষে কৃষকদের সেচের পানির জন্য বাড়তি খরচ করতে হয়েছে। এবার কৃষকদের ধানের ফলন আশানুরূপ হয়েছে। কৃষকেরা আশানুরূপ দরে ধানও বিক্রি করতে পারছেন। এ বছর প্রতি বিঘা জমিতে ধান চাষ করে কৃষকরা প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকার বেশি লাভ করতে পারছেন বলে জানান তিনি।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এসবি