বগুড়ায় চড়া দামেও মিলছে না আলু বীজ, হতাশ কৃষক
ছবি: সংগৃহীত
বগুড়ায় নন্দীগ্রামে চড়া দাম দিয়েও মিলছে না আলুর বীজ। এখন উপজেলাজুড়ে আমন ধান কাটা-মাড়াইয়ের কাজ চলছে। ধান কাটা শেষ করেই কৃষকরা আলুর চাষের জন্য জমি প্রস্তুত করছেন। কিন্তু আলুর বীজ চাহিদামতো না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পরেছেন কৃষকরা। আবার বীজ পেলেও তার দাম আকাশ ছোঁয়া
স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর উপজেলায় আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ২৫০ হেক্টর জমি। এ উপজেলায় বিএডিসি অনুমোদিত ডিলার রয়েছে ৩০ জন।
উপজেলার কৃষকদের অভিযোগ, বিএডিসি ডিলারদের তৈরি করা সিন্ডিকেটের কারণে দেখা দিয়েছে আলুর বীজ সঙ্কট। এ বছর আলু চাষ বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা বেশি দামে আলু বীজ বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ করেন তারা। আবার এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ব্র্যাকের কতিপয় ডিলাররা নির্ধারিত মূল্যের চাইতে দ্বিগুণ দামে আলুর বীজ বিক্রি করছেন।
বিএডিসি সাধারণত অ্যাস্টেরিক, ডায়মন্ড ও সানাশাইন জাতের আলু বিক্রি করে। এসব আলু কৃষক পর্যায়ে প্রতি কেজি ৬০-৬৫ টাকায় বিক্রির কথা থাকলেও তা বিক্রি হচ্ছে ১২০-১২৫ টাকা দরে।
আলু চাষি রাজু শাহ বলেন, 'ডিলাররা আলুর বীজ নেই বলছে। আবার ৩ হাজার টাকা বস্তার আলু ৫ হাজার টাকা দিলেই রাতারাতি বীজ পাওয়া যাচ্ছে।'
বিএডিসি ডিলার কোরবান আলী বলেন, 'কৃষকরা বিএডিসি বীজ নিতে চায় না, তাই আলু বীজ উত্তোলন করিনি।'
ব্রাক ডিলার শিহাব বলেন, 'আমি মাত্র ১৫ টন ব্রাকের বীজ আলু বরাদ্দ পেয়েছি। এই আলু কাকে দিব আর না দিব সেটা নিয়েই চিন্তায় আছি।'
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. গাজীউল হক বলেন, আলু বীজের সংকট নেই, তবুও যদি কেউ অভিযোগ করে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এসবি