শাকের নাম খারকন
দেখতে অনেকটা কচুগাছের মতো হলেও বেশ লম্বা ডাটা আর পাতার এই শাকের নাম খারকোন। পাতা গাড় সবুজ রং। ডাটার রং কিছুটা খয়েরি। পাতা দেখতে তিন কোনা খাজ কাটা হয়। লাল রং এর ফুল হয়। ফুল দেখতে অনেকটা কলমের মতো।
ঘেট কচু, ঘের কচু আদিবাসি চাকমা সম্প্রদায় খারকন কে খারবাস, খারাকেও, গাড়ো সম্প্রদায় কালমান বলে।
এই শাকের ডাটাসহ পাতা রসুন কালোজিরা, শুকনা মরিচ ভেজে পাটায় বেটে ভর্তা করে খাওয়া হয়। টাংগাইল এলাকায় গ্রামের বেশির ভাগ মানুষ খুদের ভাতের সাথে এই শাকের ভর্তা খেতে খুব পছন্দ করে। এছাড়া অনেকে ডাটা ছোট ছোট করে কেটে ভেজে শুঁটকি মাছ দিয়ে রান্না করে খায়।
কলার সাথে খারকোন খেলে ষ্টমাকের সমস্যা ভালো হয়ে যায়। তাছাড়া, গরুর শরীরে ঘা হলে গাড়ো সম্প্রদায়ের মানুষ এই শাকের শিকড় মিহি করে বেটে পেষ্ট তৈরি করে সেখানে ব্যবহার করে।
চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম, টাংগাইল, সিলেট এবং ঢাকায় এই শাক পাওয়া যায়।
ঢাকাসহ সারা দেশেই এই শাকের বেশ চাহিদা রয়েছে। সেকারণে এর বাণিজ্যিক চাষ লাভজনক হবার সম্ভাবনা রয়েছে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি