জন্মদিন
দুপুরে ওয়ালী পার্ক থেকে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে ফিরছি। আউয়াল ও ফয়সাল আজাদ ফোন করে গ্রামীণ চটপটিতে যেতে অনুরোধ করলো। ভাবলাম হয়তো কোনো জরুরি বিষয়। বাজার সদাই ফেলে ছুটে গেলাম। রেলওয়ে প্যারেডে সবাই আমার জন্য অপেক্ষা করছে। জন্মদিনের কেক কাটা হবে।
সকালে রতন’দা আমার ফেজবুকে ওয়ালে লিখেছে, ‘আজ ২ সেপ্টেম্বর। আমাদের প্রিয়জন নাইম আব্দুল্লাহর জন্মদিন। ব্যস্ততার শহরে হয়তো গতানুগতিক ভাবেই কাটবে কোনো অনুষ্ঠানের নিউজ কভার করতে ক্যামেরা নিয়ে ছুটবেন। তার জন্মদিন হয়তো পালন করা হবেনা। প্রচারের সাথে জড়িত এই মানুষটি নিজের ক্ষেত্রে প্রচার বিমুখ বলেই তার নিজের টাইমলাইনে লাইনে তালা দিয়ে রেখেছেন। তাতে কি! তার অনুরাগীরা তাকে উইশ করার কোনো না কোনো খুঁজে বের করে নেবে। শুভ জন্মদিন।’
রাস্তার উপরে ফুটপাথে টেবিল বসানো হয়েছে। তার উপর রাখা হয়েছে জন্মদিনের কেক। দিদার ভাই আমাকে ব্যাখ্যা করে বললেন, আমরা রাস্তার উপর খোলা জায়গায় আপনার জন্মদিন পালনের আয়োজন করেছি। যাতে করে এই রাস্তা অতিক্রম কালে সবাই আপনাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে পারে।
বাংলাদেশি অধ্যুষিত এই রাস্তা অতিক্রম কালে সবাই একেক করে জড়ো হলো। যখন সবাই একসাথে উইশ করা শুরু করলো তখন আশেপাশের দোকানগুলি থেকে আরও অনেকে এসে শামিল হলো।
সবাই আমাকে আবেগ মাখা ভালোবাসায় জড়িয়ে ধরলো। আমি পেছনে ফিরে চোখ মুছলাম।
সন্ধ্যায় গেলাম একটি নাটকের মহরত অনুষ্ঠানে। রহমত ভাই উপস্থিত সবাইকে আমার জন্মদিনের কথা মনে করিয়ে দিলে সবাই আমাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালো।
যারা ফেসবুকে কিংবা ব্যক্তিগতভাবে জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছে তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা।
লেখক: নাইম আবদুল্লাহ, সিডনি (অস্ট্রেলিয়া) প্রবাসী লেখক ও সাংবাদিক।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এমএস
নিউজবাংলাদেশ.কম