News Bangladesh

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ২১:৪২, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪
আপডেট: ০৮:৪৯, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪

বাশার আল-আসাদের শেষ ফোনালাপ ‘আগামীকাল দেখা যাবে’

বাশার আল-আসাদের শেষ ফোনালাপ ‘আগামীকাল দেখা যাবে’

ছবি: সংগৃহীত

বিদ্রোহী যোদ্ধাদের রাজধানী দামেস্ক দখলের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। গত ৮ ডিসেম্বর (রবিবার) ব্যক্তিগত বিমানে রাশিয়ার উদ্দেশে দেশ ছাড়েন তিনি। 

১৯৭১ থেকে ২০০০—এ ২৯ বছর সিরিয়া শাসন করেছেন হাফিজ আল-আসাদ। ২০০০ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত ২৪ বছর শাসনক্ষমতায় ছিলেন তারই পুত্র বাশার আল-আসাদ। সিরিয়ার মানুষের জন্য এ ৫৩ বছর ছিল দমন-নিপীড়নের ইতিহাস, গণতন্ত্রহীনতার ইতিহাস। 

১৩ বছরের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে বিদ্রোহী বাহিনীর হাতে রাজধানী দামেস্কের পতন ও প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পলায়নের মধ্য দিয়ে সিরিয়ায় আল-আসাদ পরিবারের দীর্ঘ শাসনের অবসান ঘটেছে।

এবার এক সপ্তাহ পর নীরবতা ভেঙে একটি বিবৃতি দিয়েছেন বাশার আল আসাদ।

সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বাশার আল আসাদ বলেন, দামেস্ক পতনের পর তার দেশ ছাড়ার কোনো পরিকল্পনা ছিল না। কিন্তু পশ্চিম সিরিয়ায় রাশিয়ার ঘাঁটিতে হামলার পর দেশটির সামরিক বাহিনী তাকে সরিয়ে নেয়। সিরিয়ার প্রেসিডেন্সি পরিচালিত টেলিগ্রাম চ্যানেলে তিনি এ কথা জানান। এর মাধ্যমে এক সপ্তাহ পর প্রথমবারের মতো নীরাবতা ভাঙলেন তিনি।

তিনি বলেন, বিদ্রোহীরা রাজধানীতে হামলা চালানোর কয়েক ঘণ্টা পর ৮ ডিসেম্বর সকালে তিনি দামেস্ক ত্যাগ করেন। তিনি রাশিয়ান মিত্রদের সঙ্গে সমন্বয় করে লাতাকিয়ার উপকূলীয় প্রদেশের হামিমিম বিমান ঘাঁটিতে আশ্রয় নেন। সেখানে তিনি যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ারও পরিকল্পনা করেছিলেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, সেই রাতে রাশিয়ান ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা হয়। এরপর রাশিয়ানরা তাকে মস্কোতে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে পূর্ব পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আমি দেশত্যাগ করিনি।

বাশার বলেন, সংঘর্ষ চলাকালে কোনো সময়েই আমি পদত্যাগ বা আশ্রয় নেওয়ার কথা ভাবিনি। এমনকি কোনো ব্যক্তি বা দলের দ্বারা এমন প্রস্তাব দেওয়া হয়নি। সন্ত্রাসী হামলার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়াই ছিল একমাত্র পদক্ষেপ।

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, যখন রাষ্ট্র সন্ত্রাসের কবলে পড়ে এবং অর্থবহ অবদান রাখার ক্ষমতা হারিয়ে যায়, তখন যে কোনো অবস্থান উদ্দেশ্যহীন হয়ে যায়।

এর আগে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, বাশার প্রথমে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আশ্রয় চেয়েছিলেন। কিন্তু আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়ার ভয়ে তা প্রত্যাখ্যান করে আবুধাবি। পরে তার নিরাপত্তার দায়িত্ব নেন পুতিন। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ কাতারে বিদ্রোহীদের সঙ্গে চুক্তি করে আসাদকে মস্কোতে পৌঁছানোর সুযোগ করে দেন।

আসাদের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ গাজি আল জালালি জানান, পালানোর রাতেও আসাদ পরিস্থিতি নিয়ে তাদের বিভ্রান্ত করেছিলেন। আগের রাতেও শেষ ফোনালাপে তিনি বলেছিলেন, আগামীকাল দেখা যাবে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়