বাংলাদেশের ‘তরী’ থেকে বাদ পড়ার খবরে ক্ষুব্ধ ঋতুপর্ণা
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। ফাইল ছবি
পশ্চিমবঙ্গের অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত ওপার বাংলার পাশাপাশি এপার বাংলাতেও সমান জনপ্রিয়। নির্মাতা রাশিদ পলাশের ‘তরী’ সিনেমায় অভিনয়ের কথা ছিল পশ্চিমবঙ্গের অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর।
গত জুলাই মাসে ঋতুপর্ণাকে নিয়ে নতুন সিনেমার ঘোষণা দেন নির্মাতা। তবে, ‘তরী’ সিনেমা থেকে তাকে বাদ দিয়ে অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রকে নিয়ে কাজ করবেন বলে জানান নির্মাতা রাশিদ পলাশ।
গত সপ্তাহে পরিচালক জানান, থাকছেন না ঋতুপর্ণা, তার জায়গায় অভিনয় করবেন পশ্চিমবঙ্গের আরেক অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে বাদ দেওয়া হয়েছে ঋতুপর্ণাকে।
তবে এমন খবরে বিব্রত হয়েছেন ঋতুপর্ণা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, পরিচালকের সঙ্গে তার কোনো চুক্তিই হয়নি, তাহলে বাদ পড়ার প্রসঙ্গে এল কীভাবে!
ঋতুপর্ণা বলেন, এ সিনেমা নিয়ে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল, কিন্তু আমি কিছু ফাইনাল করিনি। চিত্রনাট্যে কিছু পরিবর্তন চেয়েছিলাম। আমাকে নতুন করে স্ক্রিপ্ট পাঠানোর কথা ছিল। তবে তারা পাঠাননি। আমি জানিয়ে দিয়েছিলাম, চিত্রনাট্য ঠিক না হলে আমি কাজ করব না। ফলে আমার সঙ্গে কোনো চুক্তি হয়নি। তাই নেওয়া বা বাদ দেওয়া—কোনো প্রসঙ্গই উঠতে পারে না।
সিনেমা থেকে বাদ দেওয়া প্রসঙ্গে পরিচালকের মন্তব্যে বিব্রত হয়েছেন ঋতুপর্ণা।
তিনি বলেন, পরিচালক আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। এর পর থেকে যেসব গল্প বানানো হচ্ছে, সেগুলো আমার অজানা। এভাবে কোনো অভিনেতার নাম ব্যবহার করে পাবলিসিটি করার বিষয়টা আমার সত্যি জানা নেই। যথাযথ নিরাপত্তা না থাকার কারণে আমাকে নিয়ে তারা শুট করতে পারবেন না, সেটা আলাদা বিষয়। তবে তারা যেভাবে বিষয়টাকে সামনে আনছেন, সেটা সঠিক নয়।
ঋতুপর্ণার সঙ্গে চুক্তি না হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন নির্মাতা রাশিদ পলাশ নিজেও।
তিনি বলেন, এটি সত্যি তার সঙ্গে আমাদের কোনো চুক্তি হয়নি। সে কারণেই তাকে ছাড়া কাজটি করার সিদ্ধান্ত নিতে সহজ হয়েছে। জুলাই-আগস্টের পর দেশে নানা ধরনের পটপরিবর্তন হচ্ছে। আমি চাইনি তরীতে এর কোনো প্রভাব পড়ুক। আমাদের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এই মুহূর্তে ঋতুপর্ণাকে নিয়ে কাজ করতে চাইছেন না। এ কারণেই ঋতুপর্ণার পরিবর্তে শ্রীলেখাকে যুক্ত করা।
গুঞ্জন আছে, তরী থেকে ঋতুপর্ণার বাদ পড়ার নেপথ্যে রয়েছেন অভিনেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য ফেরদৌস। তার সঙ্গে অনেক দিনের বন্ধুত্ব ঋতুপর্ণার। নির্মাতা চাননি, ফেরদৌসের সূত্র ধরে সিনেমার শুটিং ও মুক্তিতে কোনো প্রতিবন্ধকতা তৈরি হোক।
অন্যদিকে, বাংলাদেশের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পক্ষে সরব ছিলেন শ্রীলেখা, তাই তাকে যুক্ত করা হয়েছে এ সিনেমায়।
তরীর গল্প লিখেছেন আহাদুর রহমান। চিত্রনাট্য করেছেন গোলাম রাব্বানী। প্রযোজনা করছে পুণ্য ফিল্মস। ইতিমধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্তবর্তী এলাকায় হয়েছে তরী সিনেমার প্রথম লটের শুটিং। আগামী বছরের শুরুর দিকে বাকি অংশের শুটিংয়ের পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানান নির্মাতা।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি