নেত্রকোণায় আলু চাষে ব্যস্ত কৃষক
আলুর বীজ রোপণ ও পরিচর্যার কাজ করছেন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিরা। ছবি: সংগৃহীত
নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় আমন ধান কাটার পর সেই জমিতে আলুর বীজ রোপণ ও পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন উপজেলার ১৩টি ইউপির ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিরা। হিমাগার থেকে বীজ সংগ্রহ, জমি প্রস্তুত, সার প্রয়োগসহ বিভিন্ন কাজে তাদের ব্যস্ততা। তবে আলুর বীজ সার কীটনাশক ও মজুরের দাম বেড়ে যাওয়ায় এবার আলু চাষে উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে বলে জানিয়েছেন আলু চাষিরা।
উপজেলা বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন প্রকার জৈব ও রাসায়নিক সার দিয়ে আলু চাষের জন্য জমি পস্তুত করছেন কৃষক। কেউ জমি তৈরি করে বীজ আলু জমিতে লাইন ধরে রোপণ করছেন। আবার কেউ কেউ আলু ক্ষেত পরিচর্যা নিয়ে ব্যস্ত। অগ্রহায়ণ মাসে আলু চাষের মৌসুম হলেও বেশি দাম পাওয়ার আশায় আশ্বিন মাস থেকে আলু চাষ করছেন কৃষক।
উপজেলা চিরাং ইউনিয়নের আলুচাষি সুমন মিয়া জানান, গত বছর আমন ধান কাটার পর এক একর জমিতে আলু রোপণ করেছিলেন তিনি। সেই আলু বিক্রি করে দ্বিগুণ লাভ পান। এবারো সমপরিমাণ জমিতে ক্যারেজ জাতের আলু রোপণ করেছেন। এতে খরচ গতবারের তুলনায় প্রায় ৫০ হাজার টাকা বেশি হয়েছে। এবার মজুরি, আলুর বীজের দাম, সরকারি দামের থেকেও খুচরা বাজরে সার কীটনাশকের দাম বেশি। আলু ফলন ও দাম ভালো হলে এই আলু বিক্রি করে লাভবান হব বলে আশা করেছেন তিনি।
উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের চাষি স্বপন খান বলেন, আলু লাগানো নিয়ে এক প্রকার প্রতিযোগিতা হয়। যার আলু যত আগে উঠবে, সেই কৃষক তত বেশি ভালো দামে বিক্রি করবে। মৌসুমের শুরুতে বাজারে নতুন আলুর চাহিদা থাকে প্রচুর। ভোক্তার কাছে আগাম দিতে পারলে চড়া বাজার মূল্য পেয়ে দ্বিগুণ লাভবান হওয়া যায়। তবে গত বছরের তুলনায় এবার সার বীজের দাম বেড়েছে তাই উৎপাদন খরচও বেড়েছে।আবহওয়া ভালো থাকলে আশা করছি আগাম আলুর ফলন ভালো হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদার বলেন, 'রকেন্দুয়ায় আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৯৫ হেক্টর। খসড়া তালিকা অনুয়ায়ী, এ পর্যন্ত প্রায় ২৫০ হেক্টর জমিতে দেশি জাতের আলু বীজ রোপণ হয়ে গেছে। কয়েকদিনে মধ্যে আলু বীজ রোপণ শেষ হয়ে যাবে। সার ও বীজ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে এরকম খবর বা অভিযোগ পাইনি। যদি বেশি দামে সার বিক্রি হয়ে থাকে তাহলে তদন্ত করে ডিলারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। '
নিউজবাংলাদেশ.কম/এসবি