News Bangladesh

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১২:৪৩, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪

আইনজীবী সাইফুল হত্যার প্রধান আসামি চন্দন গ্রেফতার

আইনজীবী সাইফুল হত্যার প্রধান আসামি চন্দন গ্রেফতার

গ্রেফতারকৃত চন্দন। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম আদালতের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার মামলার প্রধান আসামি চন্দনকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে ভৈরব থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে রেলওয়ে স্টেশন থেকে তাকে গ্রেফতার করে। সেখানে রেলস্টেশনের পাশে মেথরপট্টিতে শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার পথে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

ভৈরব মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিন মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চন্দন রেলস্টেশনে ঘোরাঘুরি করছিলেন। রাতে তার শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই খবর পেয়ে তাকে আমরা গ্রেফতার করি।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর মামলা হলে প্রধান আসামি চন্দনকে ধরতে চট্টগ্রাম ডিবি (গোয়েন্দা পুলিশ) গত দুই দিন ধরে ভৈরবে অবস্থান করছিল। ডিবি জানতে পারে আসামি চন্দনের শ্বশুরবাড়ি ভৈরব এলাকায়। কিন্তু ডিবি তার খোঁজ পাচ্ছিল না।

ওসি বলেন, বুধবার ডিবি তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে জানতে পারে তিনি ভৈরবে অবস্থান করছেন। পরে এ খবর আমাদের জানানো হলে পুলিশ সন্ধ্যার পর থেকে ভৈরব রেলস্টেশনে অবস্থান নেয়। রাত ১১টার দিকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে রেলস্টেশন এলাকা থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

ওসি আরও বলেন, চন্দন ট্রেনে চট্টগ্রাম থেকে রওনা হয়ে বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ভৈরব রেলস্টেশনে নামেন। তার শ্বশুরবাড়ি ভৈরবের মেথরপট্টিতে। ট্রেন থেকে নেমে তিনি স্টেশনে ঘোরাঘুরি করে পানির ট্যাংকের কাছে চলে যান। শ্বশুরবাড়ির লোকজন এসে ওই জায়গা থেকে তাকে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। ইচ্ছা ছিল রাত গভীর হলে শ্বশুরের বাসায় আশ্রয় নেবেন। এরই মধ্যে আমরা তাকে গ্রেফতার করি। বর্তমানে থানা হেফাজতে তাকে রাখা হয়েছে। গ্রেফতারের বিষয়টি চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানার পুলিশকে জানানো হয়েছে। পুলিশ চট্টগ্রাম থেকে এলেই তাকে হস্তান্তর করা হবে।

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) কাজী তারেক আজিজ বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে খবর পেয়ে পুলিশ ভৈরব থেকে চন্দনকে গ্রেফতার করে। আইনজীবী হত্যার ভিডিওতে কমলা রঙের গেঞ্জি আর কালো প্যান্ট পরা ছিলেন চন্দন।

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেফতার সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর হওয়াকে কেন্দ্র করে গত ২৬ নভেম্বর আদালত প্রাঙ্গণে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় সাইফুলের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। 

এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধাদান এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়। ৬ মামলায় গ্রেফতার হন ৪০ জন। তাদের মধ্যে হত্যায় জড়িত অভিযোগে ১০ জন গ্রেফতার রয়েছেন। 

গত সোমবার পুলিশের ওপর হামলা ও কাজে বাধাদানের মামলায় গ্রেফতার দুই আসামির জন্য ওকালতনামা দিলে আইনজীবীদের বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করেন অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর সরকারি কৌঁসুলি নেজাম উদ্দিন।

ঘটনাস্থল থেকে পুলিশের সংগ্রহ করা ৫২ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফুটেজের সূত্র ধরে তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ধারালো অস্ত্র দিয়ে আইনজীবী সাইফুলকে কোপান ওম দাশ, চন্দন ও রনব, আর তাকে পেটাতে থাকেন অন্যরা। সেখানে আরও ২৫-৩০ জন ছিলেন। তাদের বেশির ভাগই পরিচ্ছন্নতাকর্মী।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়