টেকনাফে বনভূমিতে মাদ্রাসা নির্মাণ, পুলিশ ও সাংবাদিকের মোটরসাইকেলে আগুন
ছবি: নিউজবাংলাদেশ
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের হাজমপাড়া এলাকায় কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের শিলখালী রেঞ্জ কর্মকর্তাসহ অবরুদ্ধ ৫ বনকর্মীকে উদ্ধার করতে গিয়ে বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই ইবরাহীম গুরুতর আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে হাজমপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বনভূমিতে ফোরকানিয়া মাদ্রাসা নির্মাণের খবর পেয়ে স্থানীয় রেঞ্জ কর্মকর্তা ও বনকর্মীরা দেখতে গেলে সেখানে স্থানীয় লোকজন তাদের অবরুদ্ধ করে রাখে এবং মারধর করে আহত করে।
খবর পেয়ে বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ দস্তগীর হোসাইনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গেলে এলাকার লোকজন উত্তেজিত হয়ে এএসআই ইবরাহীমের উপর হামলা করে গুরুতর আহত করে। বর্তমানে তিনি কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে জানিয়েছেন ইনচার্জ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে শিলখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম জানান, এসিএফ স্যারের নির্দেশে বনভূমিতে দালান নির্মাণ দেখতে গেলে হাজমপাড়া এলাকার লোকজন আমাদেরকে অবরুদ্ধ করে ও মারধর করে এবং আমাদের দুইটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় মামলা করা হবে জানান তিনি।
ঘটনার সংবাদ পেয়ে কয়েকজন সাংবাদিক সংবাদ সংগ্রহের জন্য গেলে দৈনিক প্রতিদিনের চিত্রের টেকনাফ উপজেলা প্রতিনিধি আনোয়ার হোসেনের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি পুড়িয়ে দেয় বলে জানান তিনি।
সংবাদকর্মীর মোটরসাইকেল পুড়ানোয় ঘটনায় সাংবাদিকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।
তারা নিউজবাংলাদেশেকে জানান, সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে মোটরসাইকেল পুড়ানো এটা কাদের ইন্ধন খতিয়ে দেখে তাদেরকে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ দস্তগীর হোসেন নিউজবাংলাদেশকে বলেন, স্থানীয় ৫ বনকর্মীদের অবরুদ্ধ করে রাখার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করি। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি