যশোর-ঢাকায় অফিস করতে ট্রেন চালুর দাবিতে রেলপথ অবরোধ
ছবি: নিউজবাংলাদেশ
যশোর রেলওয়ে জংশন থেকে পদ্মা সেতু রেলপথ হয়ে চারটিসহ ঢাকায় যাতায়াতের ট্রেন দেওয়ার দাবিতে যশোরে রেলপথ অবরোধ করেছেন যশোর রেল যোগাযোগ উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটি।
মঙ্গলবার দুপুরে এ কমিটির ব্যানারে শতাধিক মানুষ যশোর রেল স্টেশনের রেললাইনে অবস্থান নিয়ে এ অবরোধ করেন।
এ সময়ে অবরোধকারীরা যশোর রেলওয়ে জংশনে অবস্থান করে ঢাকাগামী বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেন আটকে দেয়। দেড় ঘণ্টাব্যাপী অবরোধের পর যশোরের জেলা প্রশাসকের অনুরোধে অবরোধ তুলে নেন অবরোধকারীরা। তবে দাবি আদায় না হলে পরবর্তীতে আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন তারা।
বক্তারা বলেন, বেনাপোল-নড়াইল-ঢাকা রুটে দুটি ট্রেনসহ ছয় দফা দাবিতে ধারাবাহিক আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া হবে। পদ্মাসেতুর রেল প্রকল্পের অধিক সুবিধাপ্রাপ্তির ন্যায্য দাবিতে তারা বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকেন।
অন্যান্য দাবিগুলো হলো- দর্শনা-যশোর-নড়াইল-ঢাকা রুটে ২টি ট্রেন চালু, যশোর শহর থেকে প্রতিদিন ঢাকায় অফিস করার জন্য ট্রেনের সময়সূচী তৈরি করা, আন্তঃনগর ট্রেনে সুলভ বগী যুক্ত করা, ট্রেনের ভাড়া বাস ভাড়া থেকে কম রাখা, ট্রেনের টিকিট প্রাপ্তির সহজ পদ্ধতি চালু করা, সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা এবং দর্শনা-খুলনা রেলপথকে দ্রুত ডবল করা।
কথিত যশোর রেল যোগাযোগ উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান ভিটুর সভাপতিত্বে অবরোধ সমাবেশে বক্তব্য দেন কমিটির সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার রুহুল আমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক আমিনুর রহমান হিরু, ফারাজী আহমেদ সাঈদ বুলবুল, সংস্কৃতিজন হারুন অর রশিদ, তসলিমুর রহমান, অধ্যক্ষ শাহীন ইকবাল। এসময় যুগ্ম সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান মিলন, প্রবীণ বামনেতা হাসিনুর রহমান, যশোর সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা একরাম-উদ-দ্দৌলা, যশোর শিল্পকলা একাডেমির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মাহমুদ হাসান বুলু, যশোর আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত সহসভাপতি গোলাম মোস্তফা, পরিবেশ আন্দোলনের নেতা খন্দকার আজিজুল হক মনি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট যশোরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দীপঙ্কর দাস রতনসহ শতাধিক অবরোধকারী উপস্থিত ছিলেন।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি