News Bangladesh

নিউজ ডেস্ক  || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৭:১৭, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ভোক্তাপর্যায়ে অপরিবর্তিত থাকছে এলপি গ্যাসের দাম 

ভোক্তাপর্যায়ে অপরিবর্তিত থাকছে এলপি গ্যাসের দাম 

ভোক্তাপর্যায়ে অপরিবর্তিত থাকছে এলপি গ্যাসের দাম। ফাইল ছবি

চলতি মাসে ভোক্তাপর্যায়ে এলপি গ্যাসের দাম অপরিবর্তিত থাকছে। নভেম্বরের দামে বিক্রি হবে রান্নার কাজে ব্যবহৃত এই তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস। গত মাসে প্রতি ১২ কেজি সিলিন্ডারের মূল্য ছিল ১ হাজার ৪৫৫ টাকা। অটোগ্যাসের দামও (লিটার প্রতি ৬৬.৮১ টাকা) অপরিবর্তিত থাকছে।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) নতুন এ মূল্য আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। 

বিইআরসির হল রুমে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নভেম্বর মাসের নতুন দর ঘোষণা করেন চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সদস্য সৈয়দা সুলতানা রাজিয়া, মো. মিজানুর রহমান, মো. আব্দুর রাজ্জাক ও কমিশনের সচিব ব্যারিস্টার খলিলুর রহমান।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, রেটিকুলেটেড পদ্ধতিতে তরল অবস্থায় সরবরাহ করা বেসরকারি এলপিজির ভোক্তাপর্যায়ে মূসকসহ মূল্য প্রতি কেজি ১১৭ টাকা ৪৩ পয়সা এবং গ্যাসীয় অবস্থায় সরবরাহ বেসরকারি এলপিজির ভোক্তাপর্যায়ে মূসকসহ মূল্য প্রতি লিটার ০.২৬০৯ টাকায় বা প্রতি ঘনমিটার ২৬০.৯০ টাকায় সমন্বয় করা হয়েছে।

এছাড়া ৫.৫ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৬৬৭ টাকা, ১২.৫ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৫১৬ টাকা, ১৫ কেজির দাম ১ হাজার ৮১৯ টাকা, ১৬ কেজির দাম ১ হাজার ৯৪০ টাকা, ১৮ কেজির দাম ২ হাজার ১৮৩ টাকা, ২০ কেজির দাম ২ হাজার ৪২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

২২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ২ হাজার ৬৬৮ টাকা, ২৫ কেজির দাম ৩ হাজার ৩২ টাকা, ৩০ কেজির দাম ৩ হাজার ৬৩৮ টাকা, ৩৩ কেজির দাম ৪ হাজার ২ টাকা, ৩৫ কেজির দাম ৪ হাজার ২৪৪ টাকা, ৪৫ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৫ হাজার ৪৫৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত মাসেও একই দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল।

আমদানি নির্ভর এলপিজিতে ২০২১ সালের ১২ এপ্রিলের দর ঘোষণার সময় বলা হয় সৌদির দর উঠা-নামা করলে ভিত্তিমূল্য উঠানামা করবে। অন্যান্য কমিশন অপরিবর্তিত থাকবে। ঘোষণার পর থেকে প্রতিমাসে এলপিজির দর ঘোষণা করে আসছে বিইআরসি। তবে অভিযোগ রয়েছে কখনই বিইআরসি নির্ধারিত দরে বাজারে এলপি গ্যাস পাওয়া যায়নি।

এ প্রসঙ্গে বিইআরসির চেয়ারম্যান বলেন, আমরা বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও ভোক্তা অধিদপ্তরকে চিঠি দিয়ে অবহিত করি। তারা যেনো বাজার মনিটরিং জোরদার করেন। বাজার মনিটরিং আরও জোরদার করা হবে।

তিনি আরও বলেন, দাম নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে, এর অন্যতম হচ্ছে ডিস্ট্রিবিউটর ও খুচরা বিক্রেতাদের উপর আমাদের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। আমরা তাদেরকে লাইসেন্সের আওতায় আনার কাজ করছি। লাইসেন্স ছাড়া কেউ ব্যবসা করতে পারবে না। তখন কেউ অপরাধ করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সহজ হবে।

এর আগে নভেম্বর মাসে মূল্য সমন্বয়ের এই সিলিন্ডারের দাম নির্ধারণ করা হয় ১৪৫৫ টাকা, যা আগের মাসে ছিল ১৪৫৬ টাকা ছিল। অর্থাৎ এক টাকা কমানো হয়েছিল।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়