৭১ বসন্ত পার হলেন কিংবদন্তি রুনা লায়লা
৭১ বসন্ত পেরিয়ে ৭২-এ রুনা লায়লা। ছবি: সংগৃহীত
আজ রবিবার (১৭ নভেম্বর) গানের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী রুনা লায়লার জন্মদিন। তার সুরের মূর্ছনায় জাদু ছড়িয়ে যাচ্ছেন এখনও। তাকে বলা হয় উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী। বিশ্বের বহু ভাষায় দশ হাজারেরও বেশি গান গেয়েছেন এই শিল্পী। কোটি কোটি সংগীতপ্রেমী শ্রোতা দর্শককে গানে মুগ্ধ করে চলেছেন ৬০ বছরেরও বেশি সময় ধরে।
হাজারো স্মৃতি বুকে জড়িয়ে জীবনের ৭১ বসন্ত পেরিয়ে ৭২-এ পা রেখেছেন। আজকের দিনটি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেই বিশেষভাবে কাটাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
অনেক গুণের অধিকারী সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা। তিনি সুরকার হিসাবেও অনবদ্য। সুরকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন। তারই সুর করা গানে কণ্ঠ দিয়েছেন আশা ভোসলে, হরিহরণ, রাহাত ফাতেহ আলী খান, আদনান সামী, আঁখি আলমগীরসহ বর্তমান প্রজন্মের একাধিক শিল্পী।
অডিও এবং সিনেমা মিলিয়ে তার ঝুলিতে রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন ভাষায় দশ হাজারেরও বেশি গান। এখনো স্টেজ শোতে গান গাওয়ার প্রস্তাব এলে পুলকিত হন তিনি। তবে ইদানীং গান গাওয়ার চেয়ে সুর করতেই বেশি পছন্দ করেন।
নিজের জন্মদিন প্রসঙ্গে রুনা লায়লা বলেন, ‘জন্মদিনে শুধু সবার কাছে দোয়া চাই যেন আল্লাহ আমাকে, আমার পরিবারের সবাইকে সুস্থ রাখেন ভালো রাখেন। আমি যেন আরও সুন্দর সুন্দর গান শ্রোতা দর্শককে উপহার দিতে পারি। সংগীত জীবনে দীর্ঘ ষাট বছরের চলার পথে মানুষের যে শ্রদ্ধা ভালোবাসা পেয়েছি তাতে আমি মনে করি সবার দোয়াতে আমি আজ এ পর্যন্ত আসতে পেরেছি। বিশেষত জন্মদিন এলে বাবা-মা আর আমার বড় বোন দীনা লায়লাকে খুব মিস করি।’
নতুন গানের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বেশকিছু পরিকল্পনা আছে নতুন গান নিয়ে। আমার সুরে যেমন কয়েকজন শিল্পীকে নিয়ে গান করার পরিকল্পনা আছে ঠিক তেমনি আমিও অন্যের সুরে গান গাইব তেমন পরিকল্পনাও আছে। যেমন এরই মধ্যে সাদেক আলীর সুরে বেতারে প্রচারের জন্য দুটো গান করেছি। সামনে আরও গান আসছে।’
এম এ আলমগীর পরিচালিত ‘একটি সিনেমার গল্প’ সিনেমায় সুরকার হিসেবে নিজের অভিষেক ঘটিয়ে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারেও ভূষিত হন। পরবর্তীতে তারই সুর করা গানে কণ্ঠ দিয়েছেন আশা ভোঁসলে, হরিহরণ, রাহাত ফতেহ আলী খান, আদনান সামী, আঁখি আলমগীর, তানি লায়লা, লুইপা, হৈমন্তী।
রুনা লায়লা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন ‘দি রেইন’, ‘যাদুর বাঁশি’, ‘অ্যাক্সিডেন্ট’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘তুমি আসবে বলে’, ‘দেবদাস’, ‘প্রিয়া তুমি সুখী হও’ সিনেমাতে প্লে-ব্যাকের জন্য। তার অভিনীত একমাত্র চলচ্চিত্র চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘শিল্পী’। এতে তিনি আলমগীরের বিপরীতে অভিনয় করেন। তবে আর কখনও অভিনয় করার আগ্রহ নেই বলে জানান রুনা।
ক্যারিয়ারে গান গাওয়ার পাশাপাশি চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘শিল্পী’ নামে একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন রুনা লায়লা।
নতুন প্রজন্মের সংগীতশিল্পীদের নানাভাবে সহযোগিতা করেন রুনা লায়লা। তিনি এটা কাউকে দেখানোর জন্য করেন না, এটা করেন মন থেকে। তিনি বলেন, এক সময় আমরা কেউ থাকব না। এই তরুণরাই বড় হবে। ওদের গান ভালো লাগলে ফোন করি, প্রশংসা করি। সরাসরি গান ভালো লাগার কথা জানিয়ে দেই। ওরাও খুশি হয়। উৎসাহ পায়। তরুণদের উৎসাহ দিতে হবে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি