ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৪৩ ফিলিস্তিনি
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যাকায় ইসরায়েলের হামলা। ছবি: সংগৃহীত
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যাকায় হামলা চালিয়ে অন্তত হামলা চালিয়ে আরও ৪৩ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে দখলদার ইসরায়েল। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। পাল্টা ইসরাইলের বন্দরনগরী হাইফাতে ড্রোন ও মিসাইল হামলা অব্যাহত রেখেছে লেবাননের হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা।
রবিবার (১৭ নভেম্বর) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার (১৬ নভেম্বর) গাজার শরণার্থী শিবিরে শক্তিশালি বোমা হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে।
এরমধ্যে জাতিসংঘ পরিচালিত সাতি শরণার্থী শিবিরে প্রাণহানি হয় ১০ ফিলিস্তিনির। জাবালিয়া শরণার্থীশিবিরে এক এক সাংবাদিককে হত্যা করে ইসরায়েলি সেনারা।
গাজার খান ইউনিসে খাবার পানি ও জ্বালানির তীব্র সংকট তৈরি হয়েছে। উপত্যকাটিতে প্রায় ১২ লক্ষ মানুষ নিরাপদ পানির সংকটে ভুগছে। সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইসরায়েলের হামলায় ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন ইসলামিক জিহাদের দুই নেতা নিহত হয়েছে।
লেবাননের নাবাতেই শহরে আরো দুই প্যারামেডিক এবং রাজধানী বৈরুত ও বালবেক অঞ্চলে অন্তত সাতজনকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি সেনারা। ইরান সমর্থিত লেবাননের হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের পাল্টা ড্রোন ও মিসাইল হমাল অব্যাহত আছে। হিজবুল্লাহর হামলায় হাইফা শহরে অন্তত পাঁচ ইসরায়েলি আহত হয়েছে।
গত বছরের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের হামলায় ৪৩ হাজার ৭৯৯ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন এক লাখ ৩ হাজার ৬০১ জন। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। দখলদারদের এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে।
ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজায় এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি