ইউরোপের অনেক প্রসাধনীতে নিষিদ্ধ রাসায়নিক
প্রতীকী ছবি
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১৩টি দেশে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর সাড়ে চার হাজার প্রসাধনীর মধ্যে ২৮৫টি প্রসাধনীতে নিষিদ্ধ রাসায়নিকের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
তদন্ত চালানো এসব প্রসাধনীর মধ্যে জার্মানির পণ্যও আছে।
২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত এই তদন্ত চালানো হয়। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, প্রসাধন সামগ্রীর যে বর্ণনা দেওয়া থাকে প্যাকেটের গায়ে, তা দেখেই জিনিসগুলি কেনা হয়। আশ্চর্য বিষয় হলো, সেখানেই লেখা আছে ওই সামগ্রীতে নিষিদ্ধ রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়েছে। অর্থাৎ, ক্রেতারাও চাইলে দেখতে পাবেন এই তথ্য।
বিভিন্ন দামের সাড়ে চার হাজার প্রসাধন সামগ্রী বাজার থেকে কেনা হয়। এরপর সেগুলি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। কেমিকেল এজেন্সি জানিয়েছে, এর মধ্যে ২৮৫টি প্রোডাক্টে নিষিদ্ধ কেমিকাল পাওয়া গেছে। এই কেমিকেলগুলি ইউরোপে ব্যান বা নিষিদ্ধ। ত্বকের ক্ষতি করে এই কেমিকেলগুলি।
সংস্থাটি যে রিপোর্ট প্রস্তুত করেছে, সেখানে বলা হয়েছে, ক্রেতারা আসলে জানেনই না, কোন রাসায়নিকগুলি ইউরোপে নিষিদ্ধ এবং কেন।
যে সামগ্রীগুলির মধ্যে নিষিদ্ধ কেমিকেল পাওয়া গেছে তার মধ্যে পেনসিল আই লাইনার, লিপস্টিক, চুলের কনডিশনার, মাস্কের মতো নিত্য ব্যবহার্য জিনিস আছে। সংস্থাটির তরফ থেকে বলা হয়েছে, আপাতত প্রসাধন সামগ্রীর সাপ্লায়রদের একটি লিখিত নোটিস পাঠানো হবে। কোন কোন প্রোডাক্টে নিষিদ্ধ রাসায়নিক আছে তা তাদের জানানো হবে। ওই জিনিসগুলি তারা যাতে বাজারে না আনেন, তা বলা হবে।
প্রাথমিক পদক্ষেপের পর যদি কাজ না হয় তখন পরবর্তী পরিকল্পনা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তারা। সূত্র: রয়টার্স, এএফপি।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি