ডায়াবেটিস রুখতে কয়েকটা অভ্যাস বদলান
দিনে দিনে মারণ রোগের আকার নিচ্ছে ডায়াবেটিস। চিকিৎসকরা একে সাইলেন্ট কিলার আখ্যা দিয়েছেন। অজান্তেই শরীরে বাসা বেঁধে, একটু একটু করে শেষ করে দিচ্ছে একটা তরতাজা প্রাণ!
চিকিৎসক ও গবেষকদের দাবি, দৈনন্দিন জীবনে কয়েকটা অভ্যাসের পরিবর্তন আনলেই ডায়াবেটিস হওয়া থেকে নিজেকে অনেকটা বাঁচিয়ে রাখতে পারবেন, বা বলা যায়, সেফটি ওয়াল তৈরি করতে পারবেন।
দুপুরে টানা অনেক্ষণ ঘুমাবেন না। খুব ক্লান্তি লাগলে ১০–১৫ মিনিট-এর ‘পাওয়ার ন্যাপ’ নিন।
অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকলে ইনসুলিনের কার্যকারিতা কমে রক্তে সুগারের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। নিয়মিত এমনটা হলে শরীরে বাসা বাঁধবে ডায়াবেটিস। কাজেই ঠিক সময়ে খাওয়া–দাওয়া করুন।
এই প্রজন্মর অনেকেই নাইট ডিউটি করেন। সমীক্ষা বলছে, বছর খানেক টানা রাতে কাজ করলে ডায়াবেটিসের আশঙ্কা বাড়ে ১৭ শতাংশ, ৩–৯ বছর করলে ২৩ শতাংশ ও ১০ বছর পেরিয়ে গেলে ৪২ শতাংশের মতো। এর প্রধান কারণ মেলাটোনিন হরমোনের ক্ষরণ কমে যাওয়া, যার ফলে ইনসুলিন ঠিকভাবে কাজ করতে পারে না, হানা দেয় ডায়াবেটিস। কাজেই, প্রথম থেকে সাবধান হন! রাতের শিফটে কাজ করতে হলে চিকিৎসকের পরামর্শমতো মেলাটোনিন খান।
সফট ড্রিংস-এ থাকে কর্ন সিরাপ, যা নিয়মিত খেলে রক্তে ফ্রুকটোজের পরিমাণ বেড়ে যায়। প্যাকেজড ফ্রুট ড্রিংস-এও প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে। নিয়মিত খেলে ডায়াবেটিস হওয়া কেউ রুখতে পারবে না।
ব্রাউন সুগার, মধু বা গুড়ের ক্যালরি চিনির থেকে কম। কাজেই মিষ্টি খেতে ইচ্ছে হলে চিনির বদলে মাঝেমধ্যে এসব খেতে পারেন।
আলু খাওয়া মানেই ডায়াবেটিস- এটা ভুল ধারণা। ১০০ গ্রাম আলুতে যেখানে আছে ১০০ ক্যালরি, সেখানে ১০০ গ্রাম চাল–আটায় রয়েছে ৩৪০ ক্যালরি। তার উপর আলুতে রয়েছে ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড, যা সুগার কমাতে সাহায্য করে। তবে আলুর গ্লাইসিমিক ইনডেক্স বেশি, অর্থাৎ খেলে চট করে সুগার বেড়ে যায়। কাজেই ইচ্ছে হলে অল্প পরিমাণে আলু খান, খোসা সমেত বা অন্য সবজির সঙ্গে মিশিয়ে। ভাজা বা আলুসেদ্ধ কখনো নয়!
ব্লাডপ্রেশার বেশি হলে কম কফি খান। কারণ, রক্তচাপ বেশি হলে ডায়াবেটিসের আশঙ্কা এমনিই বাড়ে, তার ওপর কফি খাওয়ার ফলে গ্লুকোজ মেটাবলিজম-এ গোলমাল হলে আশঙ্কা আরও বেড়ে যায়। ধূমপানের কারণেও ব্লাড প্রেশার বৃদ্ধি পায়। জন্ম নেয় ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনাও।
সমীক্ষা বলছে, নিয়মিত এক ঘণ্টা টানা টিভি দেখলে ডায়াবেটিসের আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এফএ