খুলনায় বাঁধ ভাঙ্গার আতঙ্কে মানুষ, অধিক উচ্চতায় জোয়ারের পানি
খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার তেলিগাতি নদীর পাড়ের বাসিন্দারা রয়েছেন আতঙ্কে। সোমবার দুপুরের জোয়ারের স্রোতে নদীর পাড়ের বাঁধ ভেঙ্গে বিল এলাকা প্লাবিত হয়। স্থানীয় জনসাধারণ স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে তাৎক্ষনিক পানি আটকাতে সক্ষম হলেও মঙ্গলবারও বাঁধের উপর দিযে জোয়ারের পানি বিলে প্রবেশ করেছে।
বাদুরগাছা গ্রামের গৃহবধূ কবিতা সরকার সন্তানদের নিযে অসহায় হয়ে পড়েছেন। কবিতা সরকার কান্নাজড়িত কন্ঠে বললেন প্রতিবছর বাঁধ ভাঙ্গে কোন রকম মেরামত হয়। বিশাল আকৃতির বাঁধের এখন মাত্র ২/৩ ফুট বেচে আছে।
স্থানীয়দের সাথে আলাপকালে জানা যায়, প্রতিবছল শুষ্ক মৌসুমে দোলপূর্নিমার সময় জোয়ারের পানির উচ্চতা বেড়ে যায়। এ সময়ে বাঁধের মাটি শুকিয়ে যায়। ফলে দুর্বল হয়ে যাওয়া বেড়িবাঁধ কোন কোন স্থানে ভেঙ্গে যায়। আবার কোন স্থানে বাঁধের উপর দিয়ে জোয়ারের পানি উপচে গ্রামে প্রবেশ করে। তারই শিকার হয়েছেন জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার শেঅভনা ইউনিয়নের বাগআচড়া ও বাদুরগাছা গ্রামের প্রায় ৫ হাজার মানুষ।
এই গ্রামের দুটি বিলে প্রায় তিন হাজার বিঘা জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। ইতোমধ্যে ধান পেকে গেছে। শুধুমাত্র বাগ আচড়া নয় খর্নিয়া, ডুমুরিয়া বাজার, কদমতলা বাজার, শিবপুর গ্রামসহ বেশ কিছু অঞ্চলে জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, শুধুমাত্র ডুমুরিয়া উপজেলা নয়, বটিয়াঘাটা, দাকোপ, কয়রা, পাইকগাছা এলাকার নদ-নদীল পানির উচ্চতা বেড়েছে। এছাড়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের তলদেশ দিয়েও লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে।
শোভনা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সরদার আব্দুল গণি বলেন, প্রতিবছর চৈত্র বৈশাখ মাসের পূর্নিমা ও অমাবশ্যার সময় জোয়ারের পানি বাড়ে। এবারও সোমবার ও মঙ্গলবার দুপুরের জোয়াওে বাগআঁচড়া বাদুরগাছা এলাকার তেলিগাতি নদীর পানির তোড়ে বাঁধ ভেঙ্গে যায়। স্থানীয় ঐলাকাবাসী নিজেরা স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে আপদকালিন পানি আটকাতে পারলেও আতঙ্কে রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী ( এসডিই) মো: মিজানুর রহমান জানান, চলতি পূর্নিমার গোনে নদ-নদীর জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে দেড় থেকে দুই ফুট উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। কোন কোন স্থানে বাঁধের উপর দিয়ে জোয়ারের পানি উপচে পড়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাঁধ মেরামত করে উচ্চতা বৃদ্ধি করা হবে বলে তিনি জানান।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এএস