সাংবাদিক থেকে ঠাকুরগাঁওয়ের প্রথম নারী মেয়র বন্যা
সারাদেশে (রবিবার ১৪ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত চতুর্থ ধাপে পৌরসভা নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হলেন এক নারী সাংবাদিক। বন্যা মেয়র নির্বাচিত হওয়ায় সাংবাদিক সমাজ ও সুধিমহলে চলছে আনন্দ উদ্দীপনা।
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাংবাদিক আঞ্জুমান আরা বেগম বন্যা ঠাকুরগাঁও পৌরসভায় ৬৩ বছর পর প্রথম নারী মেয়র নির্বাচিত হয়ে রেকর্ড করেছেন। তিনি ২৬ হাজার ৫০২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রার্থী শরিফুল ইসলাম পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৩৩৩ ভোট।
নব-নির্বাচিত মেয়র সাংবাদিক বন্যা দীর্ঘদিন দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকা ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন।
মেয়র নির্বাচিত হওয়ার বিষয়ে আঞ্জুমানা আরা বেগম বন্যা বলেন, একজন সাংবাদিক থেকে উঠে এসে আমি মেয়র নির্বাচিত হয়েছি। আমি পেশায় সাংবাদিক হওয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে দলীয় মনোননয় দিয়েছেন জনগনের সেবা করার জন্য। ফলে পৌরসভার মানুষ বিপুল ভোটে আমাকে নির্বাচিত করেছেন। মেয়র নির্বাচিত হওয়ার আগ মূহূর্ত পর্যন্ত আমার পরিচয় ছিল আমি একজন সংবাদকর্মী।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু দীর্ঘদিন ঠাকুরগাঁওয়ের অবহেলিত মানুষের কথা পত্রিকার পাতায় তুলে ধরেছি। সেহেতু পৌরসভার সকল সমস্যা খুঁজে বের করে ঠাকুরগাঁও পৌরবাসীকে মডেল পৌরসভায় রূপান্তর করার কাজ করে যাবো।
ঠাকুরগাঁও সু-শাসনের জন্য নাগরিকের সভাপতি প্রফেসর মনতোষ কুমার দে জানান, একজন সাংবাদিক দেশ ও জনস্বার্থে কাজ করেন। সেই সাংবাদিক যখন জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে জনগনের পাশে দাড়াবেন তখন সাধারণ মানুষ সেবাটা বেশি পাবেন। ঠাকুরগাঁও পৌরসভাকে আধুনিক মডেল পৌরসভা গঠনে নিশ্চই আঞ্জুমানা আরা বেগম বন্যা গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করবেন।
ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের সভাপতি মনসুর আলী জানান, পৌরসভার ইতিহাসে আমার সহকর্মী মেয়র নির্বাচিত হওয়ায় নিজেকে গর্ববোধ মনে করছি। আমরা সাংবাদিকরা সমাজের সাধারন মানুষের দু:খ, কষ্টের কথা গুলো তুলে ধরি। কিন্তু মেয়র আঞ্জুমানা আরা বেগম বন্যা এখন থেকে সমস্যার সমাধানের কাজ গুলো করতে পারবেন।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এএস