জাতীয় পতাকা উত্তোলনে বিধি-বিধান অনুসরণে সতর্কতা
আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সময় পতাকা বিধিমালার বিধি-বিধান কঠোরভাবে অনুসরণের জন্য সবাইকে সতর্ক করেছে সরকার।
সম্প্রতি জেলা পর্যায়ে জাতীয় দিবসসমূহে আনুষ্ঠানিকভাবে পতাকা উত্তোলনের সময় ইউনিফর্মধারী ব্যক্তি বিধি অনুযায়ী জাতীয় পতাকার প্রতি যথাযথভাবে সম্মান প্রদর্শন না করায় এমন নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
জাতীয় পতাকা বিধিমালার বিধান প্রতিপালন নিয়ে সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ নির্দেশনা জারি করেছে। এ নির্দেশনা সোমবার (৪ জানুয়ারি) ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
এতে বলা হয়, জাতীয় পতাকা বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও মর্যাদার প্রতীক। এর মর্যাদা সমুন্নত রাখা প্রত্যেক নাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য। বাংলাদেশের পতাকা বিধিমালা, ১৯৭২-এ জাতীয় পতাকা সংক্রান্ত বিধিমালা সন্নিবেশিত রয়েছে, যার প্রতিপালন বাধ্যতামূলক।
পতাকা বিধিমালা ১৯৭২-এ উল্লিখিত দিবসমূহে আনুষ্ঠানিকভাবে পতাকা উত্তোলনের বিষয়ে সুস্পস্ট বিধান রয়েছে জানিয়ে বলা হয়, যে ক্ষেত্রে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘পতাকা’ উত্তোলন করা হয়, সেই ক্ষেত্রে একইসঙ্গে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে হবে। যখন জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয় এবং জাতীয় পতাকা প্রদর্শিত হয় তখন উপস্থিত সবাই পতাকার দিকে মুখ করে দাঁড়াবেন। ইউনিফর্মধারীরা স্যালুটরত থাকবেন। পতাকা প্রদর্শন না করা হলে উপস্থিত সবাই বাদ্যযন্ত্রের দিকে মুখ করে দাঁড়াবেন, ইউনিফর্মধারীরা জাতীয় সঙ্গীতের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত স্যালুটরত থাকবেন।
‘কিন্তু সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, জেলা পর্যায়ে জাতীয় দিবসসমূহে আনুষ্ঠানিকভাবে পতাকা উত্তোলনের সময় কতিপয় জেলার ইউনিফর্মধারী ব্যক্তি বিধি অনুযায়ী জাতীয় পতাকার প্রতি যথাযথভাবে সম্মান প্রদর্শন না করে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে পতাকা উত্তোলন করছেন, যা বিধি বহির্ভূত। ’
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনায় আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সময় পতাকা বিধিমালা, ১৯৭২-এর বিধি-বিধান কঠোরভাবে অনুসরণের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক করা হলো এবং ভবিষ্যতে এ বিধিমালা যথাযথভাবে অনুসরণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।