নির্বাচন ‘শান্তিপূর্ণভাবে’ শেষ হয়েছে: ইসি সচিব
দেশের ২৪ পৌরসভায় প্রথম ধাপের এ নির্বাচন ‘শান্তিপূর্ণভাবে’ শেষ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসি সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর।
ভোটগ্রহণ শেষে সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকায় নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, প্রথম ধাপের এ নির্বাচন ‘শান্তিপূর্ণভাবে’ শেষ হয়েছে।
এবারের পৌর নির্বাচনের প্রথম ধাপে দেশে ২৪টি পৌরসভায় সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ইভিএমে ভোটগ্রহণ চলে।
তবে এর মধ্যে খুলনার চালনা পৌরসভায় একজন প্রার্থী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়ায় মেয়র পদের ভোটের ফল স্থগিত করা হয়েছে বলে ইসি সচিব জানান।
পৌর ভোটের প্রথম ধাপে কত শতাংশ ভোট পড়েছে সেই ধারণা দিয়ে তিনি বলেন, “কোনো কেন্দ্রে ৬০ শতাংশ, ৭০ শতাংশ ও ৮০ শতাংশ পর্যন্ত ভোট পড়েছে। এখন সঠিক পরিসংখ্যান দেওয়া যাবে না। অনেক কেন্দ্রের তথ্য পেয়েছি, ৬০ শতাংশের নিচে ভোট পড়েনি।”
ভোটার উপস্থিতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে মো. আলমগীর বলেন, “নির্বাচন সার্বিকভাবে খুব ভালো হয়েছে। ভোটারদের উপস্থিতিও ছিলো ভালো। সাকসেসফুল নির্বাচন হয়েছে।”
মহামারীকালে শীতের মধ্যে স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচন ঘিরে তেমন উত্তাপ দেখা যায়নি। পঞ্চগড়ে পৌরসভায় জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার গাড়ি ভাঙচুর আর সীতাকুণ্ডে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনা ছাড়া বড় কোনো গোলযোগেরও খবর আসেনি।
তবে অনেক জায়গায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা কেন্দ্র দখল করে ‘তাণ্ডব চালিয়েছে’ বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
দিনাজপুরের ফুলবাড়ি পৌরসভায় একটি কেন্দ্রে ভোটারদের সারি। দিনাজপুরের ফুলবাড়ি পৌরসভায় একটি কেন্দ্রে ভোটারদের সারি। ইসি সচিব বলেন, পঞ্চগড়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার গাড়ি ভাঙচুরের বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন পেলে তারা ব্যবস্থা নেবেন।
“সীতাকুণ্ডে দুষ্কৃতকারীরা ইভিএম কেড়ে নেওয়ার অপচেষ্টা করে। টানাটানিতে পড়ে গিয়ে ইভিএমের মনিটরটি ভেঙে যায়। পরে তা রিপ্লেস করে ভোট হয়। ভোটে কোনো সমস্যা হয়নি। এ ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে ববস্থা নেওয়া হবে।”
ধামরাই পৌরসভায় ভোট চলাকালে অনিয়মের চিত্র তুলতে গিয়ে গণমাধ্যকর্মীর মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ার একটি খবর নজরে আনা হলে তা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন ইসি সচিব।
পৌরসভায় দলীয় প্রতীকে মেয়র পদে প্রথমবার ভোট হয়েছিল ২০১৫ সালে। সে বছর ৩০ ডিসেম্বর এক দিনেই দেশের ২৩৪ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ হয়। তাতে ভোট পড়ে ৭৩ দশমিক ৯২ শতাংশ।
নির্বাচনের পরদিন ফলাফল পাওয়া যায় ২২৭টি পৌরসভার। তার মধ্যে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের ১৭৭ জন ও বিএনপির ২২ জন বিজয়ী হন।
এবার মহামারীর মধ্যে চার ধাপে ভোট হচ্ছে পৌরসভায়। ১৬ জানুয়ারি ও ৩০ জানুয়ারি দ্বিতীয় ও তৃতীয়ধাপের ভোট হবে। চতুর্থধাপের তফসিল দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি