সুতোয় গাঁথা মালা
যখন ছোট ছিলাম, জানতাম সৃষ্টিশীল মানুষ তারাই যারা অনেক লেখালেখি করে। বয়স বাড়ে, আস্তে আস্তে বুঝতে শুরু করি, না এই কাতারে আরও অনেকে আছে।
যারা ছবি আঁকে, গান লেখে, গানের কথায় সুর দেয়, নাচের মুদ্রা তোলে, ছবি তোলে, হাল আমলের ফ্যাশন তৈরিতে কাপড়ে অনেক কাটাকুটি করে এরাও সৃষ্টিশীল।
আজ বয়সের অনেকগুলো দাগ পেরিয়ে বুঝি প্রতিটি মানুষই সৃষ্টিশীল, সে খতিয়ান সময়ের পৃষ্ঠায় থাকুক বা না থাকুক।
তবুও আমরা বিষণ্ন, একাকী, জানালার গ্রিলে মুখ ঠেকিয়ে মুক্তি খুঁজি। মুক্তি মেলে না কিছুতে।
এমন জানালার গ্রিলে মুখ ঠেকানো সময়ে বন্ধু আর্জি জানালো সুঁই সুতোয় কিছু মালা গেঁথে দিতে। প্রায় প্রতিদিন বন্ধুর জন্য মালা গাঁথি আর সিলিং ছাদে তাকিয়ে থাকার বদলে গভীর ঘুমে তলিয়ে যাই। গেঁথে ফেলা মালায় কেও কেও ভাগ বসায়, তাই আবার মালা গাঁথি। ক'দিন হলো জানালার পাশে বসার সময় হচ্ছে না। বরং ফোটায় ফোটায় প্রতিটি জীবন বিন্দু হয়ে উঠছে আস্বাদিত।
মালাগুলো অপেক্ষা করছে একজন সৃষ্টিশীল মানুষের।
লেখক: একজন নারী উদ্যোক্তা ও শিক্ষিকা। ফাউন্ডার, অহল্যা।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এএস