নিজের আয়না কালো করে ফেলা আমরা
আমরা মানুষ আদতে কেমন প্রাণী!? একটা ক্ষণজীবী প্রাণীর অন্তরে এতো এতো কালো ধোঁয়া কোথা থেকে এলো!?
কেমন না!?
কেউ কাউকে দেখতে পারে না। নারী পুরুষকে দেখতে পারে না, পুরুষ নারীকে দেখতে পারে না। বৌ শাশুড়ীকে - শাশুড়ী বৌ কে। কর্মজীবী স্ত্রীর উত্তরোত্তর বিকাশে স্বামীর আত্মভিমান বাড়ে আবার স্বামী নারী সহকর্মীর সাথে কথা বললে স্ত্রী বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেন।
এ তো গেল একদিক। যদিও কথাগুলো সমান প্রযোজ্য নয়, তবে উড়িয়ে দেওয়ারও না।
সাধারণ মানুষ ডাক্তার দেখতে পারে না, ভাষ্য মতে ডাক্তার কসাই। ব্যাংকার দেখতে পারে না কারণ তারা নাকি ঘুষখোর! উকিল দেখতে পারে না, তারা নাকি মিথ্যা বলেন, শিক্ষক দেখতে পারেন না- তারা আদর্শ বেঁচে দিয়েছেন নিলামে। এরকম হিসাব করলে আরও অনেক পেশা বের হবে।
রোযার মাসে একটু কান খুলে শুনলেই শোনা যায় - আমরা যাদের নিম্নশ্রেণি বলি, তারা মনে করে ইটের দেয়ালের বাসিন্দারা রোযা রাখে না। অপরদিকে মধ্যবিত্ত মনে করে টঙ্গের দোকানে পর্দাঘেরা টোপে এগুলো চা সিগারেট ফুঁকছে, এজন্যই আল্লাহ এদের অবস্থার বদল ঘটান না।
এই যে আপন বাদ দিয়ে অপর মন ও মর্জি পড়ার ইচ্ছা, অপরকে কলঙ্কে মাখিয়ে ফেলতে ফেলতে নিজের আয়না কালো করে ফেলা- এ আমাদের মজ্জায় মিশে গেছে। শত চেষ্টায় ও কাউকে আর বিশ্বাস করতে পারি না।
(আকাশ ছুঁতে পারিনি তো কী হয়েছে, অপরকে তো টেনে হিঁচড়ে মাটিতে নামিয়ে এনেছি) আহা শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি!!!
লেখক: একজন নারী উদ্যোক্তা ও শিক্ষিকা। ফাউন্ডার, অহল্যা।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এএস