সৃষ্টিছাড়া সময়ের অপারগ দর্শক
আজ ১ মাস ১৬ দিন ঘর বন্দি। এই বন্দিদশা আসলেই নেয়া যাচ্ছে না। সারা সপ্তাহের পরিশ্রমের পর শুক্রবার আর শনিবার আরাধ্য ছিল। এখনও পুরো সপ্তাহ নানা কাজ থাকে, অনলাইন ক্লাস এর জন্য স্লাইড বানানো থেকে শুরু করে রান্না, ঘর পরিষ্কার, ছেলের সাথে খেলা আরো কত বেহিসেবি কাজ। তবু শুক্র - শনি- রবিতে কোনো তফাৎ খুঁজে পাই না। প্রথম দিকে একঘেঁয়েমী কাটাতে সেলাই, ছোট ছোট অলংকার তৈরি এমন সব কাজ করলেও এখন কিছুতেই আগ্রহ নেই। প্রায় রাতেই ঘুম কোথায় উধাও হয়ে যায়, মধ্যরাতে সিলিং এর দিকে টকটক করে তাকিয়ে থেকে বের করে দিই প্রতিটি নিশ্বাস। এ আমার একার দশা নয়, ম্যাসেন্জারের অসংখ্য সবুজ বাতি বলে দেয়, প্রতিটি ঘরের দৃশ্য।
এই যাপিত জীবনে হঠাৎ হঠাৎ সুখ দুঃখের খবর আসে, তাও কেমন সুর তাল ছেঁড়া মনে হয়। এই বোধ আমায় সজীব রাখতে পারে না। ভাগ্যিস ঘরে একটা ছোট্ট প্রাণ আছে, তার প্রশ্ন - হাসি- চিৎকার বাকি তিনটা মানুষকে জানান দেয় এখনো বেঁচে থাকার যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে।
কেমন এক সৃষ্টিছাড়া সময় আর আমি তার অপারগ দর্শক।
লেখক: সহকারী শিক্ষিকা, নেভি এ্যাংকরেজ স্কুল এন্ড কলেজ, খুলনা।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এএস