News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৯:১২, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
আপডেট: ২৩:১৫, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০

সমাজতন্ত্র থেকে পুঁজিবাদ

গগনচুম্বী ভবনে ছেয়ে যাচ্ছে ওয়ারশ

গগনচুম্বী ভবনে ছেয়ে যাচ্ছে ওয়ারশ

জামান সরকার, পোল্যান্ড থেকে

একসময়ের কমিউনিস্ট দেশ পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশতে একদা অলিম্পিক গেমস অনুষ্ঠিত হলেও বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত এর শ্রীবৃদ্ধি পরবর্তী সময়ে তেমন একটা হয়নি। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ওয়ারশতে দ্রুত গগনচুম্বী ভবন স্থাপনে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হতে চলেছে।

দুই মিলিয়ন জনসংখ্যা অধ্যুষিত ওয়ারশতে ইতিমধ্যে ২০টির বেশি আকাশচুম্বী ভবন আছে যেগুলোর উচ্চতা ১০০ মিটারের উপরে। আগামী বছরগুলিতে একই পরিকল্পনায় এ সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে বলে বলে জানালেন স্থানীয় ইমারত বিভাগের এক কর্মকর্তা।

ওয়ারশর গগনচুম্বী অট্টালিকাগুলির অদ্ভূত ও সুন্দর নাম  দেওয়া হয়ে থাকে। যেমন-- জোলটা ৪৪ (জোলটা শব্দের অর্থ স্বর্ণ) এবং এর উচ্চতা ১৯২ মিটার, ওয়ারশ ট্রেড টাওয়রের উচ্চতা ২০৮ মিটার, কসমোপলিটান টোয়ারডার ১৫৯ মিঃ...

ওয়ারশর আকাশচুম্বী ভবনের অ্যাপার্টমেন্টগুলিও যেন বিলাসিতা আর আভিজাত্যের নতুন নজির স্থাপন করেছে। বিশ্বের সেরা সেরা ধনকুবেররা এই ব্যায়বহুল আবাসগুলির মালিক বনছেন একর পর এক। এই অ্যাপার্টমেন্টগুলির অভ্যন্তর নকশা যেমন পোল্যান্ডের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দ্বারা অনুপ্রাণিত তেমনি ভেতর থেকে বাইরের অপরূপ দৃশ্যও স্পষ্ট দেখা যায়।

বলতে গেলে ওয়ারশর আকাশচুম্বী ভবন স্থাপনে তৈরির বিপ্লব ঘটে ১৯৮৯ সালে অর্থাৎ পোল্যান্ড সমাজতন্ত্রকে বিদায় জানানোর পর থেকে।

স্নায়ুযুদ্ধকালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী পরাশক্তি সোভিয়েত ইউনিয়নের এককালের একনায়ক জোসেফ স্ট্যালিন ১৯৫০ সালে সোভিয়েত ব্লকভুক্ত ওয়ারশতে কালচার প্রাসাদ নির্মান করেছিলেন যা এখনো প্রবীন পোল্যান্ডবাসীর কাছে সবচেয়ে বড় স্মৃতি বিজারিত স্থাপনা, এটা ছিল পোল্যান্ড বাসীদের জন্য জোসেফ স্ট্যালিনের একটি শুভেচ্ছা ‘উপহার’। যা মনে করিয়ে দেয় একনায়কত্ব দ্বারা পরিচালিত সমাজতন্ত্রের সময়কালকে।

এই প্রাসাদের উচ্চতা ২৩৭ মিটার যা এখনো ওয়ারশর গগনচুম্বী অট্টালিকায় সর্ব্বোচ্চ রেকর্ড ধরে রেখেছে।

তবে, জোসেফ স্ট্যালিনের ‘উপহার’ কালচার প্রাসাদের উচ্চতার সর্ব্বোচ্চ রেকর্ড আর বেশীদিন থাকছে না কারণ খুব তাড়াতাড়ি নির্মিত হতে যাচ্ছে ২৬০ মিটার উচ্চতার লিলিউম টাওয়ার।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ইউরোপের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ শহর ওয়ারশ। জার্মানির নাৎসি  সৈন্যরা ওয়ারশকে উড়িয়ে-পুড়িয়ে ভেঙে ছারখার করে দিয়েছিল যা ১৯৪৪-৪৫ এর হিরোশিমার  ধ্বংসাবশেষের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।

কেএন/

নিউজবাংলাদেশ.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়