News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১০:০৩, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯
আপডেট: ০৭:০৭, ৮ জুন ২০২০

সন্তানের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগী প্রাণীটি

সন্তানের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগী প্রাণীটি

অ্যান্টার্কটিকায় যেখানে শুন্য ডিগ্রির নিচের তাপমাত্রা সেই তাপমাত্রায় অ্যাডিলি পেঙ্গুইনদের মা-বাবারা খুব কষ্টে সন্তানদের লালন পালন করে; যা সত্যিই অবিশ্বাস্যকর!

পিতা অ্যাডিলি পেঙ্গুইন প্রায় পাঁচ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে সঙ্গিনীর কাছে ফিরে আসে। যেখানে তারা বছরের পর বছর বংশবৃদ্ধি করে আসছে। ডিম সংরক্ষণের জন্য যে বাসা দরকার তা তৈরি হয় পাথর দিয়ে। বাসা তৈরি করতে না পারলে অ্যাডিলি পেঙ্গুইন অন্যের বাসা চুরি পর্যন্ত করে।

যখন মা অ্যাডিলি পেঙ্গুইন দুটি ডিম পারে যা ৩২ থেকে ৩৪ দিন পর্যন্ত তা দিতে হয়। বাবা-মা পালাক্রমে ডিমে তা দেয়ার দায়িত্ব পালন করে থাকে। ডিম যদি ঠান্ডা আবহাওয়ায় পাঁচ মিনিটের বেশি সময় ধরে থাকে তবে সেই ডিম থেকে আর বাচ্চা ফুটে না।

অ্যাডিলি পেঙ্গুইন অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি সময় পর্যন্ত বংশবৃদ্ধি করে। পেঙ্গুইনদের সম্মেলনে যোগদান করবার আগে পর্যন্ত বাচ্চারা ২২ দিন বাসায় থাকে। প্রাপ্তবয়স্ক পেঙ্গুইনরা তাদের সেখানে আগলে রাখে। বাচ্চারা বড় হবার পরেই ৫০-৬০ দিন পরে সমুদ্রে নামে।

অ্যাডিলি পেঙ্গুইনদের বাবারা প্রাণী জগতের সবচেয়ে পরিশ্রমী বাবাদের একজন। যদি কোনো কারণে বাবা ফিরে না আসে, মা তার ডিমটি ফেলে রেখে চলে যায়। কারণ, তার একার পক্ষে ডিম ফুটিয়ে সন্তানকে বড় করার কাজটি সম্ভব নয়।

মাইটোকন্ড্রিয়া এবং নিউক্লিয়াস কোষ গবেষণার মাধ্যমে জানা গেছে, এই প্রজাতিটি ৩৮ মিলিয়ন বছর আগে অন্যান্য প্রজাতিদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পিআর

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়