রিশা হত্যা: ওবায়দুলের শাস্তির বিষয়ে জানা যাবে ৬ অক্টোবর

ঢাকার উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের ছাত্রী সুরাইয়া আক্তার রিশাকে হত্যার ঘটনায় দরজি কর্মচারী ওবায়দুল হকের সাজার ব্যাপারে জানা যাবে ৬ অক্টোবর।
তিন বছর আগের আলোচিত ওই মামলার শুনানি শেষে বুধবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ রায়ের জন্য ৬ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।
সিদ্দিক বাজারের ব্যবসায়ী রমজান হোসেনের মেয়ে রিশা ঢাকার কাকরাইলের উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের অষ্টম শ্রেণিতে পড়তো।
২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট দুপুরে স্কুলের সামনে ফুটব্রিজে তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়। চার দিন পর হাসপাতালে মারা যায় ১৪ বছর বয়সী ওই কিশোরী।
হামলার দিনই রিশার মা তানিয়া বেগম রমনা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। রিশা মারা যাওয়ার পর এটি হত্যা মামলায় পরিণত হয়।
৩১ আগস্ট নীলফামারীর ডোমার থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ওবায়েদুলকে।
ওবায়েদুল খান দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের মীরাটঙ্গী গ্রামের আবদুস সামাদের ছেলে ওবায়েদুল ইস্টার্ন মল্লিকা শপিং মলে মলে বৈশাখী টেইলার্স নামের একটি দর্জির দোকানের কর্মচারী ছিলেন।
রমনা থানার পরিদর্শক আলী হোসেন ২০১৬ সালের ১৪ নভেম্বর ওবায়দুলকে একমাত্র আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, রিশার মা তানিয়া ওই হত্যাকাণ্ডের ৫/৬ মাস আগে রিশাকে নিয়ে বৈশাখী টেইলার্সে কাপড় সেলাই করাতে যান। এরপর দোকানের রসিদের কপি থেকে ফোন নম্বর নিয়ে দোকানের কর্মচারী ওবায়দুল ফোনে রিশাকে বিরক্ত করতে থাকে। রিশা প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ওবায়দুল তাকে ছুরি মেরে হত্যা করে।
২০১৭ সালের ১৭ এপ্রিল আদালত অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আসামি ওবায়দুলের বিচার শুরুর আদেশ দেয়।
বাদীপক্ষের ২৬ জন সাক্ষীর মধ্যে মোট ২১ জনের সাক্ষ্য ও জেরা শেষে ওবায়দুল হককে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়। ১১ সেপ্টেম্বর তিনি আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহম্মদ বলেন, আমার মক্কেল নির্দোষ। তার বোন ও ভগ্নিপতিকে আটকে রেখে এবং তাকে নির্যাতন করে পুলিশ স্বীকারোক্তি আদায় করেছে। আশা করি আদালতের রায়ে সে খালাস পাবে।
অন্যদিকে এ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বলেন, আসামি প্রকাশ্য দিবালোকে একটা মেয়েকে ছুরি মেরে হত্যা করেছে। তার এমন সাজা হওয়া উচিত যেন ভবিষ্যতে আর কেউ এ ধরনের কাজ করতে সাহস না পায়।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পিআর/এএইচকে