ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক শিক্ষার্থী ও নীলফামারীর ডোমার সরকারি কলেজের প্রভাষক সলেমান আলীর উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ঢাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘অপরাজয় বাংলা’ ভাস্কর্যের সামনে মানববন্ধনে অংশ নেন শিক্ষার্থীরা। ‘নেটওয়ার্ক অব ইয়াং নীলফামারীয়ান’ নামের একটি ছাত্রসংগঠন এটির আয়োজন করে।
এর আগে শনিবার দুপুরে মুন্না ও তার সহযোগীরারা ডোমার সরকারি কলেজ ভবনে প্রভাষক সলেমানকে মারধর করে। মারতে মারতে তিনতলা থেকে নিচে নিয়ে আসেন। সলেমানকে পদার্থ বিজ্ঞানের প্রভাষক আব্দুল মালেক বাঁচাতে আসলে বখাটে ছাত্ররা তাকেও মারধর করেন। তারপর আহত সলেমান আলীকে ডোমার সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানেও ছাত্রনেতাধারীরা হাসপাতালে তার চিকিৎসা বন্ধে চিকিৎসকদের হুমকি দেন। তার নিরাপত্তায় নিয়ে তিনি ভীষণ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।
এখন পর্যন্ত অভিযুক্তদের মধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন নাজমুল, হালিম ও আলামিন। এরমধ্যে মঙ্গলবার জামিন হয়েছে নাজমুলের। তবে ঘটনার মূল আসামি শান্তসহ ১৩ জন পলাতক।
মানববন্ধনে ঢাবি শিক্ষার্থীদের দাবি, প্রভাষক সলেমান আলীর উপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। যাতে আর কোন বখাটে শিক্ষার্থী কোনদিন শিক্ষকদের লাঞ্ছনা, অপমান কিংবা শারীরিক হেনস্তা করার সাহস না পায়। একইসঙ্গে সলেমান আলীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করারও জোর দাবি জানানোও হয়।
এসময় দেশে শিক্ষকদের উপর কার মদদে হামলা করা হচ্ছে তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে খতিয়ে দেখার আহবান জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, নীলফামারীর ডোমারের সন্তান সলেমান আলী (৩৬ তম বিসিএস ক্যাডার)। নিজেকে যোগ্য করে তিনি তার এলাকার কলেজেই যোগ দেন। চেয়েছিলেন সেই কলেজের পরিবর্তন আনতে। এলাকার শিক্ষার্থীদের মাঝে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন জাগাতে। কিন্তু তার সেই স্বপ্ন বখাটেদের কষাঘাতে অঙ্কুরেই শেষ হতে চলেছে।