সারাদেশে মশার ওষুধ ছিটানোর নির্দেশ হাইকোর্টের
রাজধানীসহ সারাদেশে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ ও এডিস মশার আবাসস্থল ধ্বংস করতে ব্যাপকহারে ওষুধ ছিটানো ও অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে এ বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৬ অক্টোবর দিন নির্ধারণ করেন আদালত।
বুধবার বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর সমন্বয় গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালত মশা নিধনে মালয়েশিয়ার উদাহরণ টেনে বলেন, “প্রয়োজনে স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত দু-একদিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে সব শ্রেণির মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ ও এডিস মশার আবাসস্থল ধ্বংসে একযোগে অভিযান পরিচালনা করা যেতে পারে।”
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার কাজী মাঈনুল হাসানকে উদ্দেশ করে আদালত বলেন, “সারা দেশে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়েছে। আপনারা সারা দেশে কি ওষুধ দিচ্ছেন? ডেঙ্গু রোধে গাফিলতি ও ব্যর্থতায় দায়ীদের চিহ্নিত করতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনে আদেশ দেব। আপনার বক্তব্য কী?”
জবাবে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার কাজী মাঈনুল হাসানকে আদালত বলেন, “সারা দেশে ওষুধ দেয়া হয়নি। দুই সিটিতে দেয়া হয়েছে।”
জবাবে আদালত বলেন, “সারা দেশে ওষুধ দেবে কে? সরকার দেবে, না দুই সিটি দেবে?”
জবাবে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার কাজী মাঈনুল হাসান বলেন, “সরকারের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা রয়েছে।” আদালত জানতে চান, “কী সেই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা?”
এ সময় ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার কাজী মাঈনুল হাসান কোনো সঠিক উত্তর দিতে পারেননি। তখন আদালত বলেন, “জেলাগুলোতে মশার ওষুধ কে দেবে?”
এ সময় ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, “একযোগে অভিযান চালানোর দরকার।”
এ সময় আাদলত মশা নিধনে মালয়েশিয়ার উদাহরণ টেনে বলেন, “প্রয়োজনে স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত দু-একদিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে সব শ্রেণির মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ ও এডিস মশার আবাসস্থল ধ্বংসে একযোগে অভিযান পরিচালনা করা যেতে পারে।
আদালতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার তৌফিক ইনাম টিপু। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার কাজী মাঈনুল হাসান।
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কোনো অবহেলা আছে কিনা, অবহেলা থাকলে সেটা কার দায়, মশা নিয়ন্ত্রণে কার কী দায়িত্ব ছিল, তা তদন্তে কমিটি গঠনের বিষয়ে আপাতত কোনো আদেশ দেননি হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত, ১৪ জুলাই আদালত তার আদেশে ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া প্রতিরোধে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, তা জানাতে ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটির মেয়র, নির্বাহী কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
একইসঙ্গে নাগরিকদের ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়াসহ এ ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়া বন্ধ করতে এবং এডিস মশা নির্মূলে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন আদালত।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এফএ








