News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৯:৫৩, ২৬ আগস্ট ২০১৯
আপডেট: ০৬:৪৫, ২৭ আগস্ট ২০২০

ডিসির পিয়ন প্রেমিকা সাধনা সম্পর্কে যা জানা গেল

ডিসির পিয়ন প্রেমিকা সাধনা সম্পর্কে যা জানা গেল

পিয়ন পদে চাকরি করলেও ডিসি অফিসে দোর্দণ্ড প্রতাপে দাপিয়ে বেড়াতেন সানজিদা ইয়াসমিন সাধনা। তার প্রভাবের মুখে সব সময় কর্মকর্তা কর্মচারীরা থাকতো তটস্থ। শুধু কর্মচারীরাই নয় উর্ধতন কর্মকর্তাদেরও থোড়াই কেয়ার করতেন তিনি। চাকরি হারানোর শংকায় প্রতিবাদ করতে সাহস পেত না কেউ।

জামালপুরের ডিসির সঙ্গে ভিডিও ভাইরালের পর সেই অফিস সহকারী সানজিদা ইয়াসমিন সাধনার খোঁজ মিলছে না। ভিডিও ফাঁসের পর খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে ডিসি অফিসে ২৭ জনকে অফিস সহায়ক পদসহ ৫৫ জনকে নিয়োগ করা হয়।

সেই সর্ম্পকের সূত্র ধরে সানজিদা ইয়াসমিন সাধনা নিজে ও তার দুই আত্মীয় রজব আলী ও সাবান আলীকে অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ পাইয়ে দেন।

সাধনার গ্রামের বাড়ি জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার শুকনগরী গ্রামে গিয়েও তার খোঁজ মেলেনি। তার পরিবারের লোকজন জানান, তিনি তার খালার বাড়িতে আছেন। তার মনের অবস্থা ভালো নেই। তারা আরও জানান, ৭ বছর আগে সানজিদা ইয়াসমিন সাধনার স্বামী মা’রা যান। তাদের একমাত্র সন্তান ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ছে।

এই নারী ২০১৮ সালে উন্নয়ন মেলায় হস্তশিল্পের স্টল বরাদ্ধ নেয়ার জন্য জেলা প্রশাসক আহমেদ কবিরের সাথে দেখা করেন। তার রূপে মুগ্ধ হয়ে বিনামূল্যে স্টল বরাদ্দ দেন জেলা প্রশাসক।

উন্নয়ন মেলা চলাকালীন তাদের মধ্যে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরবর্তীতে যা শারীরিক সর্ম্পকে রূপ নেয়। এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে তাদের। ইতোমধ্যে আহমেদ কবিরকে ওএসডিও করা হয়েছে।

সূত্রে জানা গেছে, ছায়া ডিসি সাধনার হাতে লাঞ্চিত হয়েছেন একাধিক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা। ডিসির প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্নি দপ্তরে বদলি, নিয়োগ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি বাণিজ্য করে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষরিত কাজে সাধনাকে ম্যানেজ করতো সুবিধাভোগীরা। সবার মাঝেই ছায়া ডিসি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছিলেন এই প্রভাবশালী পিয়ন।

অফিস চলাকালীন সময়ে তাদের রঙ্গলীলা অবাধ করতে সেই কামরার দরজায় বসানো হয়েছিল লাল ও সবুজ বাতি। রঙ্গলীলা চলাকালে লালবাতি জ্বলে উঠতো। দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকতো বিশ্বস্ত পিয়ন। এই সময় কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সবার জন্য প্রবেশাধিকারে নিষেধাজ্ঞা ছিল।

এ সময় তার অফিসের বাইরে ফাইলপত্র নিয়ে অপেক্ষায় থাকতো কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ অনেকেই। লীলা শেষে পরিপাটি হয়ে যখন চেয়ারে বসতো তখন জ্বলে উঠতো সবুজ বাতি। সবুজ বাতি জ্বলে উঠার পরেই শুরু হতো দাপ্তরিক কার্যক্রম।

সাধনা অফিস সহায়ক পদে যোগদান করার পর জেলা প্রশাসকের অফিস রুমের পাশে খাস কামরাটিতে মিনি বেড রুমে রূপান্তর করতে খাট ও অন্যান্য আসবাবপত্রসহ সাজ্জসজ্জা করেন। সেই রুমেই চলতো তাদের রঙ্গলীলা।

নিউজবাংলাদেশ.কম/ এসপি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়