পশুর হাটের বেপারিদের অভিযোগ, অধিকাংশ ক্রেতারা গরুর দাম শুনছে, কিন্তু বিক্রি করার মতো দাম বলছে না। সবাই নাম মাত্র দাম বলছে। অপরদিক ক্রেতাদের অভিযোগ, বেপারিরা গরুর চড়া দাম বলছে। বিক্রির দাম বলছে না।
পশুর হাটের বেপারিদের অভিযোগ, অধিকাংশ ক্রেতারা গরুর দাম শুনছে, কিন্তু বিক্রি করার মতো দাম বলছে না। সবাই নাম মাত্র দাম বলছে। অপরদিক ক্রেতাদের অভিযোগ, বেপারিরা গরুর চড়া দাম বলছে। বিক্রির দাম বলছে না।
রাজধানীতে ক্রেতাদের ভিড়ে জমজমাট হয়ে ওঠেছে পশুর হাটগুলো। এসব হাটে গরুর দাম নিয়ে ব্যাপক কষাকষি চলছে ক্রেতা ও বেপারিদের। প্রত্যাশিত দামে গরু না পেয়ে ক্রেতারাও এক হাট থেকে অন্য হাটে ছুটে যাচ্ছে। ফলে হাটে ক্রেতাদের ভিড় থাকলে সেই তুলনায় বিক্রি খুবই কম।
শনিবার রাজধানীর পশুর হাটগুলো ঘুরে এমন চিত্র লক্ষ্য করা গেছে। সকালে ক্রেতাদের আনাগোনা কম হলেও দুপুরে হাটগুলো জমজমাট হয়ে ওঠে।
পশুর হাটের বেপারিদের অভিযোগ, অধিকাংশ ক্রেতারা গরুর দাম শুনছে, কিন্তু বিক্রি করার মতো দাম বলছে না। সবাই নাম মাত্র দাম বলছে। অপরদিক ক্রেতাদের অভিযোগ, বেপারিরা গরুর চড়া দাম বলছে। বিক্রির দাম বলছে না।
বেপারিরা আরও বলছে, হাটে গরু বিক্রির গতি খুবই কম। অধিকাংশ দাম করছে, প্রত্যাশিত দাম বলছে কম। আগামি রোববার শেষ দিনের দিকে তাকিয়ে আছেন ক্রেতারা।
আরও বলছে, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এখনও গরু আসছে। রাতে পর্যন্ত বিক্রির এ অবস্থা থাকলে আগামিকাল শেষ বেলায় গরুর দাম কমে যেতে পারে।
শনির আখড়া হাটে ফরিদপুরের বেপারি আবুল সালাম বলেন, হাটে গরুতে পরিপূর্ণ। এর মধ্যে মাঝারি সাইজের গরুর সংখ্যাই বেশি। আর এই সাইজের গরুর চাহিদাও বেশি থাকে। তাই মাঝারি সাইজের গরু অল্প লাভে বিক্রি করছি।
শনির আখড়া হাটে যাত্রাবাড়ী থেকে আসা ক্রেতা মোমিন বলছে, বড় গরুর তুলনায় মাঝারি সাইজের গরুর চড়া দাম।
কমলাপুর হাটে ওয়ারি থেকে আসা আবু জাফর সিদ্দিক বলেন, আজ নিয়ে দুইদিন হাটে হাটে ঘুরে বেড়াচ্ছি। অনেক বেপারির গরুর চড়া দাম শুনে, দাম বলতেও ভয় লাগে। যাও বলছি তাকে বেপারিরা সন্তুষ্ট নয়।
ওই হাটের আরেক ক্রেতা আবিদ বলেন, একটি গরু দেখে পছন্দ করেছি। কিন্তু বিক্রেতা খুবই চড়া দাম বলছে। আগের বার যে গরু কিনেছি ৭৫ হাজার টাকা। এবারে সেই সাইজের গরুর দাম বলছে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। কিন্তু এখন আমি তা এক লাখ টাকা বলেও পাচ্ছি না।
আফতাফনগর হাটে আসা যশোরের গরুর বেপারি আমজাদ বলেন, এবারের হাটে ২৫টি গরু নিয়ে এসেছি। গত দুইদিনে মাত্র ২টি গরু বিক্রি করেছি। হাট জমজমাট হওয়ায় আজ বিকেলের মধ্যে ৪টি গরু বিক্রি করেছি। বিক্রি করা গরুর সবগুলোই মাঝারি সাইজের। বিক্রি করেছিও এক লাখ থেকে দেড় লাখ টাকা পষর্ন্ত। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো বড় সাইজের গরু বিক্রিই হচ্ছে না।
গাবতলীর হাটে কুষ্টিয়া থেকে আসা বেপারি হামজা বলেন, হাটে দেশি গরুর চাহিদা বেশি, সেই কারণে এ গরুর সংখ্যাও বেশি। অন্য গরুর তুলনায় হাটে দেশি গরুর বেশি। এছাড়া বিভিন্ন জায়গা থেকে দেশি বেশি দামও কিনে আনতে হয়েছে।
কিন্তু সেই তুলনায় আমাদের লাভ হচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, দেশি গরু কিনেছি বেশি দামে, কিন্তু লাভ বেশি করতে পারছি না। ২১টি গরু নিয়ে এসেছি। আজই চারটি গরু বিক্রি করেছি।
অপরদিক, আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানীর ২৪টি হাটে পশু বেচাকেনা হচ্ছে। সারাদেশে এ বছর ২ হাজার ৩৬২টি কোরবানি পশুর হাট বসানো হয়েছে। এরমধ্যে রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনে বসছে ২৪টি। যানজটের বিষয়টি মাথায় রেখে এবার রাজধানীর চারপাশে হাট বরাদ্দ দিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ।
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের আওতায় ২৩টি অস্থায়ী ও একটি স্থায়ী পশুরহাট বসেছে। এই হাটগুলোর মধ্যে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ১৪টি এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ১০টি হাট।