যা খেলে মশা কামড়াবে না

ডেঙ্গুর প্রকোপ কয়েক বছরের চেয়ে এবার অনেক বেশি। আনুমানিক হিসাবে সাড়ে তিল লাখের বেশি মানুষ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। এরই মধ্যে চিকিৎসকসহ ৩০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছেন।  হাসাপাতালগুলোতে তিল ধারনের ঠাঁই নেই। ব্লাড ব্যাংকগুলো প্রচণ্ড ভিড়। 

এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে মশা নিধনের বিকল্প নেই। কিন্তু মশা নিধনে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। এ অবস্থা নিজেদেরই সতর্ক হয়ে চলতে হবে।  পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি এমন কিছু খাবার গ্রহণ করতে হবে, যে খাবারগুলোর গন্ধে মশা আপনার কাছে আসবে না। 

পেঁয়াজ ও রসুন
মশা তাড়াতে রসুনের জুড়ি নেই। রসুনে অ্যালিসিন নামে এক ধরনের উপাদান থাকে। রসুন খেলে শরীরের লোমকূপ দিয়ে অ্যালিসিন বের হয়। ফলে মশা শরীরে বসে না। পেঁয়াজও রসুনের মতোই কার্যকরী। তবে এক্ষেত্রে রসুন ও পেঁয়াজ কাঁচা খাওয়া ভাল। পাস্তা বা যেসব খাবারে কাঁচা টমেটো ব্যবহার করা হয় সেখানে কাঁচা রসুন ও পেঁয়াজ দিয়ে খেতে পারেন।

অ্যাপল সিডার ভিনেগার
মশা তাড়াতে ব্যবহার করতে পারেন অ্যাপল সিডার ভিনেগার। এর গন্ধ মশা সহ্য করতে পারে না। তাই প্রতিদিন খাবারে ব্যবহার করুন এই ভিনেগার। স্যুপ, সালাদ কিংবা যেকোন পানীয়ের সঙ্গে মেশাতে পারেন এটি। মধুর সাথে মিশিয়েও দিনে একবার খেতে পারেন। এতে শরীরে যে গন্ধ তৈরি হবে, তা মশা সহ্য করতে পারবে না।

লেমনগ্রাস
লেমনগ্রাসে আছে সাইট্রোনিলা, যা প্রাকৃতিকভাবেই মশার হাত থেকে সুরক্ষা দেয়। মশার জীবাণুর প্রতিরোধক হিসেবেও লেমনগ্রাস উপকারি। এটি সাধারণত স্যুপ, আচার ও থাইজাতীয় খাবারে ব্যবহার করা হয়।

কাঁচা মরিচ
কাঁচা মরিচে থাকে ক্যাপসাইসিন। এই উপাদানটি মশার জীবাণুর সঙ্গে যুদ্ধ করে। কাঁচা মরিচ রান্নায় ব্যবহারের চেয়ে কাঁচা খেলে ক্যাপসাইসিনের কার্যকারিতা থাকে বেশি। শাক-সবজি, সালাদ কিংবা অন্যান্য খাবারের সাথেও খেতে পারেন কাঁচা মরিচ।

টমেটো
থামামিনযুক্ত খাবার হলো টমেটো। এতে ভিটামিন বি১ থাকে প্রচুর পরিমাণে। থায়ামিন মশা প্রতিরোধে সাহায্য করে। টমেটো খেলে শরীর থেকে ঘামের সঙ্গে থায়ামিন নির্গত হয়। এর গন্ধ মশা সহ্য করতে না পেরে দূরে সরে যায়। তাই নুডলস, পাস্তা, স্যুপ ও সালাদে টমেটো রাখুন।

টকজাতীয় ফল
লেবু, কমলালেবু, আঙুর, লটকন এই ফলগুলোতে নোটকাটন নামে এক ধরনের উপাদান আছে। প্রতিদিন সকালে হালকা গরম পানিতে মধু ও অর্ধেক লেবু মিশিয়ে পান করতে পারেন। লেবু ও মধু দুটোই মশা প্রতিরোধক।