অস্ট্রেলিয়ায় আ. লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
নাইম আবদুল্লাহ সিডনি সংবাদদাতা
২৩ জুন (রোববার) ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, অস্ট্রেলিয়া। সকালে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে শুরু দিনটি পালনের আনুষ্ঠানিকতা।
এরপর আওয়ামী লীগ ও আ'লীগের সকল সহোযোগী সংগঠনের উদ্যোগে ওয়েস্টার্ন সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।
বিকেলে সিডনির বাংলাটাউনের গ্রামীন রেস্টুরেন্টে আওয়ামী লীগের ৭০ তম প্রতিষ্ঠা বাষির্কী উপলক্ষে ‘আওয়ামী লীগের গৌরবময় সাত দশকের অর্জন’ বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত আলোচনা সভায় অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি আইনজীবী সিরাজুল হকের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান কচি, মোহাম্মাদ আলী সিকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক দিদার হোসেন, কোষাধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম লাবু, সিডনি আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নির্মল কস্টা, সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আইজিদ আরাফাত অরূপ, কোষাধ্যক্ষ আব্দুস সালাম, অস্ট্রেলিয়া সেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আল জাকারিয়া স্বপন, অস্ট্রেলিয়া ছাত্রীলীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মিকু চৌধুরী। আলোচনা সভা পরিচালনা করেন যুগ্ম-সাধারণ গিয়াসউদ্দিন মোল্লা।
আইনজীবী সিরাজুল হক বলেন, ‘‘আওয়ামী লীগ মানে সংগ্রামের নাম, আওয়ামী লীগ মানে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার নাম, আওয়ামী লীগ মানে নতুন দিগন্ত উন্মোচনের নাম । আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।’’
এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগের প্রধান উপদেষ্টা গামা আব্দুল কাদির, উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ড. মাসুদুল হক প্রমুখ।
অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগের প্রধান উপদেষ্টা গামা আব্দুল কাদির বলেন, “আওয়ামী লীগের যখন জন্ম হয়েছিল তখন রাজনীতি ছিল ড্রয়িং রুম ভিত্তিক। সেই রাজনীতিকে গণমানুষের কাতারে নিয়ে এসেছিল আওয়ামী লীগ। ৭০ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত আওয়ামী লীগ এখন গণমানুষের একটি প্রিয় দলে পরিণত হয়েছে।”
তিনি আরো বলেন, “বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে এ দেশ অনেক আগেই সিঙ্গাপুরের মতো উন্নত দেশে পরিণত হতো। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধীরা তা চায়নি। তাই তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। তারা মনে করেছিল বঙ্গবন্ধু না থাকলে দেশ থেমে যাবে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা তা হতে দেননি। তিনি বাংলাদেশকে অনুন্নত থেকে স্বল্পোন্নত দেশে নিয়ে গেছেন।”
অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগ ছাড়াও সিডনি আওয়ামী লীগ, অস্ট্রেলিয়া ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা এতে অংশগ্রহণ করে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এমএস








