News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৬:৪২, ১১ জুন ২০১৯
আপডেট: ০৫:২২, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০

এমপি লিটন হত্যা: অস্ত্র মামলায় কাদের খানের যাবজ্জীবন

এমপি লিটন হত্যা: অস্ত্র মামলায় কাদের খানের যাবজ্জীবন

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য (এমপি) মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় অস্ত্র মামলার রায়ে ওই আসনের সাবেক এমপি জাতীয় পার্টির আব্দুল কাদের খানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। 

গাইবান্ধার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক দিলীপ কুমার ভৌমিক মঙ্গলবার আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডিত আব্দুল কাদের খান গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি। তিনি সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ছাপরহাটি ইউনিয়নের পশ্চিম ছাপরহাটি (খানপাড়া) গ্রামের মৃত নয়ান খানের ছেলে। কাদের লিটন হত্যা মামলাও আসামি।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) শফিকুল ইসলাম জানান, অবৈধ অস্ত্র রাখায় আব্দুল কাদের খানকে যাবজ্জীবন ও অবৈধ গোলাবারুদ মজুত রাখায় ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া এ মামলায় পৃথক এক ধারায় তাকে ১৫ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, “এমপি লিটন হত্যায় তিনটি অস্ত্র ব্যবহার হয়। এরমধ্যে একটি অস্ত্র কাদের খান নিজে থানায় জমা দিয়েছেন।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ছাপরহাটি গ্রামের আব্দুল কাদের খানের বাড়ির উঠানের মাটির নিচ থেকে ৬ রাউন্ড গুলিসহ আরেকটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। কিন্তু কাদেরের স্বীকারোক্তি মোতাবেক তৃতীয় অস্ত্রটির সন্ধান এখনও পাওয়া যায়নি।”

গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য লিটনকে ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় তার নিজের বাড়িতে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় লিটনের বোন তাহমিদা বুলবুল বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় ৪-৫ জনকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন।

ঘটনার এক মাস ২১ দিন পর বগুড়া শহরের কাদের খানের স্ত্রীর মালিকানাধীন গরীব শাহ ক্লিনিক থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরপর কয়েক দফা তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।

প্রথম রিমান্ডে থাকা অবস্থার চতুর্থ দিনের মাথায় আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে লিটন হত্যার দায় স্বীকার করেন আব্দুল কাদের খান।

কাদেরের দেওয়া তথ্যে ছয় রাউন্ড গুলি ও ম্যাগজিনসহ একটি পিস্তুল উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে পুলিশ কাদের খানের বিরুদ্ধে মামলা করে এবং গত ৬ এপ্রিল তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।

এছাড়া এ মামলায় মেহেদি, শাহীন, রানা ও কাদেরের ব্যক্তিগত গাড়ি চালককে গ্রেপ্তার পুলিশ করে। তারাও ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। এছাড়া পুলিশ এ হত্যায় কাদেরের কথিত সহযোগী সুবল চন্দ্র ও সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী শামছুজ্জোহা সরকার জোহাকেও গ্রেপ্তার করে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এএইচকে

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়